অর্ণব দাস, বারাকপুর: এক মহিলার সঙ্গে অটো চালকের বচসা। তার জেড়ে ওই অটোচালকের চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছুঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল ওই মহিলার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘটলেও শনিবারও আতঙ্কের রেশ কাটেনি কামারহাটি রথতলা মোড়ের অটোচালকদের মধ্যে। এবিষয়ে বেলঘড়িয়া থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। জখম অটোচালকের ডান চোখে এখনও সমস্যা রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বরানগর বনহুগলির বাসিন্দা অনুপ সরকার কামারহাটি সিঁথিমোড় রুটের অটো চালান। তাঁদের অটো স্ট্যান্ড কামারহাটির রথতলা মোড়ে। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় তিনি স্ট্যান্ডেই ছিলেন। অভিযোগ,তখন এক মহিলার সঙ্গে অনুপবাবুর বচসা হয়।
অভিযোগ, কিছু বুঝে ওঠার আগেই আচমকা ওই মহিলা অটোচালকের চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছুঁড়ে দেন। উপস্থিত অন্যান্য অটোচালকেরা প্রতিবাদ করতে গেলে তাঁদেরকে লক্ষ্য করেও ওই মহিলা লঙ্কার গুঁড়ো ছোড়েন বলে অভিযোগ। লঙ্কার গুঁড়োয় ক্ষতিগ্রস্ত হয় অনুপবাবুর চোখ। তৎক্ষণাৎ তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসার পর অভিযোগ দায়ের করা হয় বেলঘড়িয়া থানায়।
[আরও পড়ুন: সাবধান! কলকাতার বাজারে সরষের তেলে মিশছে বিপজ্জনক রাসায়নিক]
হাসপাতালের চিকিৎসকের পরামর্শে শনিবার অনুপবাবু বারাকপুরের বেসরকারি একটি চোখের হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যান। সেখানেই তাঁকে জানানো হয়, তাঁর ডান চোখে এখনও সমস্যা রয়েছে। ঘটনার দু’দিন কেটে গেল আতঙ্ক কমেনি রথতলা মোড়ে অটোচালকদের মধ্যে।
[আরও পড়ুন: নতুন সপ্তাহের শুরুতেই প্রবল ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা, কলকাতায় জারি কমলা সতর্কতা]
এবিষয়ে জখম অটোচালক অনুপ সরকার বলেন, “ঘটনার ঘণ্টাখানেক পরও আমি কিছু দেখতে পাচ্ছিলাম না। এখনও আমি ডান চোখে ঝাপসা দেখছি এবং মাথা ব্যথা রয়েছে। আমার সংসার আছে, তাই বাধ্য হয়ে এই পরিস্থিতিতেও অটো চালাতে হচ্ছে। সেদিন উনি আমাকে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়েছেন, অন্য কাউকে উনি অ্যাসিডও ছুড়ে মারতে পারে। ওনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক এটাই চাই।”
এবিষয়ে কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা বলেন, “ঘটনাটি সত্যি হলে খুবই নিন্দনীয়। প্রশাসনকে অনুরোধ করব, তারা যেন খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়।” পুলিশ জানিয়েছে, সব দিক খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওই মহিলার হদিশ মেলেনি।