সুকুমার সরকার, ঢাকা: ভালবাসার টান তো অসীম। সেই টানে মানুষ তো সাত সমুদ্র তেরো নদী পেরিয়ে যেতে পারে। ঠিক যেমন দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে প্রেমের টানে সুদূর জার্মানি (Germany) থেকে বাংলাদেশে ছুটে এলেন এক শিক্ষিকা। বাংলাদেশি প্রেমিকের (Lover) সঙ্গে তাঁর বিয়ে হল মহা ধুমধাম করে। বধূবরণ অনুষ্ঠানে হাজির ১০ হাজার অতিথি! এমন রাজকীয় বিবাহ (Marriage) অনুষ্ঠান এর আগে প্রত্যক্ষ করেনি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা।
বাংলাদেশের (Bangladesh) সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার বাসিন্দা আব্রাহাম হাসান নাঈম পেশায় একজন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার। বিশ্বনাথেরই এক ব্যক্তির মাধ্যমে জার্মানির শিক্ষিকা মারিয়ার সঙ্গে পরিচয় হয় আব্রাহাম হাসান নাঈমের। এরপর তাঁদের মধ্যে গড়ে উঠে ভালবাসার সম্পর্ক। উভয়ের পরিবার সিদ্ধান্ত নেন, তাঁদের বিয়ে দেওয়ার, নিজেরা আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার।
[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতে তৃণমূলের প্রার্থী বাছাই যেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন! সিঙ্গুরে ব্যালটে ভোট সদস্যদের]
গত বৃহস্পতিবার রাজকীয় ও বর্ণিল আয়োজনে হয়ে গেল তাঁদের বিয়ের মূল অনুষ্ঠান। কালো শেরওয়ানি ছিল নাঈমের পরনে, মারিয়া সেজেছিলেন পেস্তা রঙের জমকালো লেহেঙ্গায়। গলায় মোটা নেকলেস, দুহাত ভরতি চুড়ি পরা বঙ্গবধূর বেশে তাঁকে বেশ মানিয়েছে। একে অপরের সঙ্গে আংটি বদল করে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন নাঈম-মারিয়া। বিয়ে ঘিরে বিশ্বনাথ পৌরসভার শ্রীধরপুর গ্রামের আরিছ আলীর ছেলে আব্রাহামদের বাড়িতে প্রায় একসপ্তাহ ধরে চলছে আনন্দ-উৎসব ও ভুরিভোজ। আব্রাহাম-মারিয়ার বিয়ে উপলক্ষ্যে পারিবারিকভাবে রাজকীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বর্ণিল সাজে সাজানো হয় গোটা বাড়ি।
[আরও পড়ুন: শরীরে মিলল শরীর, অন্তরঙ্গ ছবি পোস্ট করে বিপাশাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা করণের]
আমন্ত্রণ জানানো হয় শ্রীধরপুর গ্রাম-সহ আশেপাশের গ্রামের সবাইকে। রাজকীয় এই বিবাহ উৎসবে অংশ নিতে পেরে আনন্দিত তাঁরাও। অনেকেই জানান, বিশ্বনাথে এ ধরনের রাজকীয় বিয়ের অনুষ্ঠান খুব কমই দেখা যায়। সকল আয়োজনই ছিল ব্যতিক্রম। আর এভাবেই জার্মান তরুণীর সঙ্গে সিলেটের যুবকের প্রেম পরিণতি পেল। এরপর অবশ্য মারিয়া ও নাঈম জার্মানি চলে যাবেন নাকি বাংলাদেশেই থাকবেন, সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি নবদম্পতি।