সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রেলে চাকরির বিনিময়ে জমি হাতানোর সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় স্বস্তি পেলেন লালুপ্রসাদ যাদব ও তাঁর পরিবার। সোমবার এই মামলায় লালু ও তাঁর দুই পুত্রের জামিন মঞ্জুর করল দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ আদালত। মাথাপিছু ১ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে লালুপ্রসাদ যাদব, তেজস্বী যাদব ও তেজপ্রতাপ যাদবের জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে। আদালত জানিয়েছে, তদন্ত চলাকালীন তাঁদের গ্রেপ্তার করা যাবে না।
২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত রেলমন্ত্রী ছিলেন লালুপ্রসাদ যাদব। অভিযোগ, এই সময় জমি ও টাকার বিনিময়ে বিহারের বহু যুবককে রেলের গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ করা হয়। লালু ও তেজস্বীর পাশাপাশি এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল ওঠে লালুর স্ত্রী তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ী দেবী এবং তাঁদের দুই কন্যা মিসা এবং হেমার বিরুদ্ধে। একের পর এক অভিযোগের জেরে গোটা ঘটনার তদন্তে নামে ইডি। তদন্তকারীদের তরফে দাবি করা হয়, চাকরির বিনিময়ে বহু যুবকের থেকে জমি নেওয়া হয়েছিল। সেই জমি তাঁরা লালুর পরিবারের সদস্য এবং ‘একে ইনফোসিস্টেমস’ সংস্থার নামে করেছিলেন।
ইডির পাশাপাশি কয়েক বছর আগেই এই ঘটনার তদন্তে নামে সিবিআই ২০২৩ সালের জুলাই মাসে সিবিআই আগেই চার্জশিট দিয়েছিল লালু, রাবড়ী এবং তেজস্বীর বিরুদ্ধে। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট প্রমাণ হিসাবে উপস্থাপিত ৯৬টি নথির ভিত্তিতে ৬ আগস্ট ১১ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করে। এই মামলাতেই ৭ অক্টোবর লালু, তেজস্বী, তেজ ও মিশা ভারতীকে তলব করে দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ আদালত। সেই মতো এদিন সকালে হুইল চেয়ারে করে সপরিবারে আদালতে উপস্থিত হন লালু ও তাঁর পুত্র-কন্যারা।
তবে এই দুর্নীতি মামলায় আদালত অভিযুক্তদের জামিন মঞ্জুর করলেও বেশ কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে, তদন্ত চলাকালীন দেশ ছেড়ে যেতে পারবে না লালুর পরিবার। এমনকি পাসপোর্টও জমা রাখতে হবে তাঁদের। তদন্তে সহায়তা করতে হবে ও কোনও সাক্ষীকে প্রভাবিত করা যাবে না। সব মিলিয়ে উৎসবের আগে জামিন পেয়ে স্বস্তিতে লালু পরিবার।