সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকি খুনের ঘটনায় শোরগোলের মাঝেই এবার লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের নজরে বিহারের সাংসদ পাপ্পু যাদব। ফোন করে খুনের হুমকি দেওয়া হল পুনিয়ার এই বাহুবলি নির্দল সাংসদকে। হুমকি ফোনে জানানো হয়েছে, পাপ্পুর গতিবিধি তাঁদের নজরে রয়েছে। সলমন মামলা থেকে দূরে না থাকলে খুন করে দেওয়া হবে সাংসদকে।
বাবা সিদ্দিকি হত্যাকাণ্ডের পর লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন পাপ্পু। সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সাংসদ জানান, 'এদের পুরো গ্যাং আমি ২৪ ঘন্টায় শেষ করে দেব।' তাঁর সেই মন্তব্যের জেরে সোমবার এক অজ্ঞাতপরিচয় নম্বর থেকে ফোন আসে পাপ্পু যাদবের ফোনে। ফোনের ওপারে থাকা ব্যক্তি দাবি করেন, তিনি লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ঘনিষ্ঠ। একইসঙ্গে জানান, লরেন্সের বিরুদ্ধে কোনওরকম মন্তব্য না করে পাপ্পু যেন তাঁর নিজের চরকায় তেল দেন। এটাও জানান, পাপ্পুকে তারা বড় ভাইয়ের চোখে দেখেন। তার পরও যদি তিনি কথা না শোনেন সেক্ষেত্রে পরিণতি অত্যন্ত শোচনীয় হবে।
শুধু তাই নয় অভিযুক্ত দাবি করেন, এই ফোন কল করার জন্য জেলের জ্যামার বন্ধ রাখতে ঘণ্টায় এক লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের তরফে। এমনকি বার বার পাপ্পুকে ফোন করা হলেও তিনি ফোন তোলেননি করে অভিযোগ করা হয় ফোনে। বিষ্ণোই গ্যাংয়ের তরফে এমন ফোন কল পেয়ে সরাসরি দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লেখেন পাপ্পু যাদব। যেখানে গোটা ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়ার পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে নিরাপত্তার দাবি জানান তিনি। সোশাল মিডিয়াতেও সেই ফোন কলের রেকর্ড তুলে ধরা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১২ অক্টোবর মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন বিধায়ক বাবা সিদ্দিকিকে গুলিতে ঝাঁজরা করে দেয় আততায়ীরা। পুলিশ সূত্রের দাবি, শুধু বাবা নন, হত্যাকারীদের টার্গেটে ছিলেন সিদ্দিকির পুত্র বিধায়ক জিশান সিদ্দিকিও। রীতিমতো কপালজোরে রক্ষা পান তিনি। এই খুনের দায় স্বীকার করেছে কুখ্যাত লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং। দাবি করা হয়, সলমন খানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ও দাউদ গ্যাংয়ের সঙ্গে যোগ থাকার জেরেই বাবা সিদ্দিকিকে হত্যা করেছে তারা।