সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে জামিনে মুক্তি পেলেন ভীমা-কোরেগাঁও মামলার অন্যতম অভিযুক্ত আইনজীবী-সমাজকর্মী সুধা ভরদ্বাজ (Sudha Bharadwaj)। গত ৩ বছর তিনি জেলবন্দি ছিলেন। বুধবারই তাঁর জামিন মঞ্জুর হয়েছিল। অবশেষে বৃহস্পতিবার বাইকুল্লার মহিলাদের সংশোধনাগার থেকে মুক্তি পেলেন সুধা। উল্লেখ্য, এই মামলায় ১৬ জন অভিযুক্তের মধ্যে তিনিই প্রথম জামিন পেলেন। এদিকে এদিনই দিল্লি আদালতে জামিন মঞ্জুর হয়েছে শারজিল ইমামের জামিন। তিনি দিল্লির হিংসার ঘটনায় ইউএপিএ-তে অভিযুক্ত। অভিযোগ, তিনি ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ায় উস্কানিমূলক ভাষণ দিয়েছিলেন।
বম্বে হাই কোর্ট গত ১ ডিসেম্বরই জামিন দিয়েছিল সুধাকে। সেই রায়ে স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল এনআইএ। শীর্ষ আদালত শুনানিতে জানিয়েছিল, ”হাইকোর্টের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করার কোনও কারণ দেখছি না।” তখনই কার্যত পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল তাঁর জামিনের বিষয়টি। অবশেষে জামিনে মুক্তি পেলেন সুধা।
[আরও পড়ুন: বেতন থেকে প্রতিমাসে ৫০ হাজার টাকা করোনা তহবিলে দান করতেন রাওয়াত]
৫০ হাজার টাকা বন্ডে তাঁর জামিনে মঞ্জুর করেছে এনআইএ বিশেষ আদালত (NIA court)। তবে তাঁকে জামিন দেওয়ার সময় বিশেষ শর্ত রেখেছে আদালত। সুধার গতিবিধির উপরে কয়েকটি শর্ত আরোপ করা হয়েছে। আদালত জানিয়েছে, প্রতি ১৫ দিন অন্তর তাঁকে সশরীরে কিংবা ভিডিও কলে নিকটবর্তী থানায় হাজিরা দিতে হবে। এছাড়া ৬০ বছরের সমাজকর্মীকে তাঁর পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে বলেও আদালত জানিয়েছে। এবং তিনি মুম্বই ছাড়তে পারবেন না। যদি বিশেষ ক্ষেত্রে শহর ছাড়ার প্রয়োজন পড়ে, সেক্ষেত্রে তাঁকে আদালতের কাছে অনুমতি চাইতে হবে। মামলার অন্যান্য অভিযুক্তদের সঙ্গে কথা বলা কিংবা আন্তর্জাতিক কলও করতে পারবেন না তিনি। পাশাপাশি বিশেষ আদালত জানিয়েছে, এই মামলা সম্পর্কে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গেও কথা বলতে পারবেন না তিনি। আদালতের এই নির্দেশের প্রতিবাদ করে তাঁর আইনজীবী দাবি করেন, এই রায় বাক স্বাধীনতার পরিপন্থী।
২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর এলগার পরিষদ সম্মেলনে উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখার অভিযোগে এই মামলা রুজু হয়। মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন সুধা ভরদ্বাজ। ২০১৮ সালের ২৮ আগস্ট তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রথমে গৃহবন্দি করা হলেও মাস দুয়েক পরে ২৭ অক্টোবর তাঁকে হেফাজতে নেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: CDS Bipin Rawat: অভিশপ্ত বিমানের ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার, ভাইরাল দুর্ঘটনার আগের মুহূর্তের ভিডিও]
এদিকে শারজিলের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ২৫ জানুয়ারি এফআইআর দায়ের করেছিল দিল্লি পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ, ধর্মীয়-জাতিগত বিদ্বেষ ছড়ানো, শান্তিশৃঙ্খলা ভঙ্গে উস্কানি দেওয়ার মতো একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছিল। ৩ দিন পরে, ২৮ জানুয়ারি তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। অবশেষে জামিন পেলেন তিনি।