অর্ণব আইচ: ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে’র ফাইল মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED) আধিকারিকদের তলব করা হয়েছিল আগেই। এবার সংস্থার যে কর্তা অভিযোগ করেছিলেন তাঁকেও ডেকে পাঠাল লালবাজার (Lalbazar)। বুধবার দুপুরেই লালবাজারে দেখা করতে বলা হয়েছে চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁকে ইডির তল্লাশি এবং তাঁর অভিযোগ সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি বিষয়ে প্রশ্ন করতে চান কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা।
গত শুক্রবার ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে’র (Leaps and Bounds) অ্যাকাউন্টস অ্যাসিস্ট্যান্ট চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায় লালবাজারের সাইবার থানায় অভিযোগ জানিয়ে বলেন, তাঁদের অফিসে তল্লাশি চালানোর সময় ইডি একটি কম্পিউটারে ১৬টি মাইক্রোসফট এক্সেল ফাইল ডাউনলোড করে কম্পিউটারে তথ্য বিকৃতি করেছে ইডি। এই ব্যাপারে সাফাই দিয়ে কলকাতার পুলিশ কমিশনার (CP) বিনীত গোয়েল ও চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়কে মেল করে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের সাফাই অনুযায়ী, এক ইডি আধিকারিক সংস্থাটিরই একটি কম্পিউটারে তাঁর মেয়ের হস্টেল সম্পর্কে খোঁজখবর নিচ্ছিলেন। ইডির ওই যুক্তি যাচাই করতেই পুলিশ মেল করে একজন ইডি আধিকারিককে তলব করে।
[আরও পড়ুন: বিপদসীমার উপরে বইছে ব্রহ্মপুত্র, বন্যা কবলিত দু’লক্ষ, অসমে এখনও পর্যন্ত দুর্যোগে মৃত ১৫]
কিন্তু সেই জবাবে সন্তুষ্ট নন লালবাজারের আধিকারিকরা। পালটা মেল করে কলকাতা পুলিশের তরফে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকদের সশরীরে তলব করা হয়। লালবাজারে গিয়েই ফাইল ডাউনলোড নিয়ে নিজেদের ব্যাখ্যা স্পষ্ট করতে হবে বলে জানিয়েছিল পুলিশ। যদিও ইডি জানিয়ে দেয়, তাঁদের আর নতুন করে কিছু জানানোর নেই। তাই সংস্থার কোনও আধিকারিক দেখা করবেন না।
[আরও পড়ুন: ‘এটাই ইন্ডিয়ার দম’, গ্যাসের দাম কমার কৃতিত্ব বিরোধী জোটকে দিচ্ছেন মমতা, এক সুর খাড়গেরও]
তবে এসবের মধ্যেই তদন্ত প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে কলকাতা পুলিশ। সেকারণেই চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়কে বুধবার হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, চন্দনকে ডেকে পাঠিয়ে তার অভিযোগের বিষয়েই আরও বিশদে জানতে চাওয়া হবে। চলতি সপ্তাহের শুরুতে চন্দনকে তলব করেছিল ইডিও। সোমবার হাজিরা দেন তিনি। তারপরই তাঁকে ডাকল লালবাজার।