ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: গত আট বছরের মধ্যে কলকাতায় দূষণের মাত্রা সবচেয়ে কম থাকার দিন হিসেবে চিহ্নিত হল সোমবার। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তথ্য অনুযায়ী, সোমবারই কলকাতার বাতাসে ধূলিকণা ও কার্বন মনোঅক্সাইডের পরিমাণ সবচেয়ে কম ছিল। অক্সিজেনের মাত্রা যথেষ্ট ভাল ছিল। আর তাই দূষণও অপেক্ষাকৃতভাবে অনেকটাই কম ছিল সোমবার।
এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের তথ্যসমূহ খতিয়ে দেখে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ বলছে, গত আট বছরের মধ্যে সোমবারই ছিল সবচেয়ে দূষণমুক্ত দিন। পরিবেশ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গোটা কলকাতার অন্তত ১৪টি জায়গায় স্বয়ংক্রিয় দূষণ মাপক কেন্দ্র রয়েছে। কেন্দ্রগুলি থেকে পাওয়া তথ্য সমীক্ষা ও বিশ্লেষণ করে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ জানতে পেরেছে, সোমবার কলকাতার বাতাসে কার্বন মনোঅক্সাইড-সহ অন্যান্য
দূষিত ধুলিকণার পরিমাণ সবেচেয়ে কম। গত আট বছরে এত কম দূষণ কোনওদিন হয়নি।
[আরও পড়ুন: উষ্ণায়নের কোপ, উধাও বিশ্বের বৃহত্তম জলপ্রপাত ভিক্টোরিয়ার বিপুল জলরাশি!]
রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তথ্য আরও বলছে, শুধু কলকাতাই নয় বিধাননগর, দক্ষিণ দমদম, হাওড়ার বাতাসেও ধূলিকণা গত আট বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম ছিল এদিন। কারণ হিসাবে পর্ষদের ব্যাখ্যা, গত কয়েকদিন ধরে কলকাতা–সহ এইসব এলাকার রাস্তায় জল ছেটানো হচ্ছে। ফলে যানবাহন গেলেও ধুলো উড়ছেনা। তা রাস্তাতেই থেকে যাচ্ছে। তাই পরিবেশ অনেকটাই দূষণমুক্ত।
কাকতালীয় ঘটনা হল, প্রতি বছর ৯ ডিসেম্বর থেকেই কলকাতার বাতাসে ধুলো বেশি করে উড়তে থাকে। অর্থাৎ যে সময় থেকে তাপমাত্রার পারদ নামতে থাকে, বাতাস শুষ্ক হতে থাকে, তখনই ধুলোর পরিমাণ বাড়ে। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কম থাকায় কার্বন মনোঅক্সাইড বা অন্যান্য দূষিত পদার্থ বাতাসে উড়তে থাকে। কিন্তু জল প্রয়োগে সেই শুষ্কতা কিছুটা কেটে যায় বলে ধুলো বাতাসে মিশতে পারে না। পরিবেশবিদদের একাংশের মতে, শীতকালে কলকাতার যা আবহাওয়া থাকে, তাতে এভাবেই বাতাসকে ধুলোমুক্ত রাখা সম্ভব।
[আরও পড়ুন: রায়দিঘিতে হলুদ কচ্ছপ, সোনার বরণ সরীসৃপ দেখতে জনতার ভিড়]
The post বাতাসে ধুলো-কার্বন মনোক্সাইডের পরিমাণ নগণ্য, ৮ বছরে সবচেয়ে কম দূষণ কলকাতায় appeared first on Sangbad Pratidin.