দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: জেল হেফাজতে অসুস্থ হওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক ব্যক্তির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল কলকাতার লেদার কমপ্লেক্স থানা (Leather Complex – Police Station)এলাকায়। দফায় দফায় থানায় বিক্ষোভ দেখান মৃতের পরিবারের সদস্যরা। ইট-পাটকেল ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। জখম হয়েছেন তিন পুলিশকর্মী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকার বাসিন্দা মিঠুন সিংহ বানতলা চর্মনগরীতে দিনমজুরের কাজ করতেন। পাশাপাশি বেআইনি মদও বিক্রি করতেন তিনি। গত বুধবার লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ ৩৬ বোতল মদ-সহ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁকে বারুইপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। সেইমতো তাঁকে বারুইপুর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়। সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়েন মিঠুন। এরপর তাঁকে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে পাঠানো হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে দেখার পর তাঁকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে। রবিবার সেখানে মৃত্যু হয় মিঠুনের। এরপরই পুলিশ মিঠুনকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে এই অভিযোগ তুলে মৃতের পরিবার ও গ্রামবাসীরা লেদার কমপ্লেক্স থানায় বিক্ষোভ দেখায়। এমনকী তাঁরা থানা লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকেন। এই ঘটনায় সাব-ইন্সপেক্টর সোমনাথ বিশ্বাস, কনস্টেবল প্রশান্ত দাস, বাবর আলি জখম হন। তাঁদেরকে স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনার খবর পেয়ে পরে কলকাতা থেকে বিরাট পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে চলে যায়। তাঁরা আয়ত্তে আনে পরিস্থিতি।
[আরও পড়ুন: ‘ভোট না পেলে জলও মিলবে না’, প্রচারে তৃণমূল প্রার্থী তপন দাশগুপ্তর বক্তব্য ঘিরে বিতর্ক]
এ বিষয়ে কলকাতার লেদার কমপ্লেক্স থানার আইসি প্রশান্ত ভৌমিক বলেন, “এক মদ বিক্রেতাকে আমরা গ্রেপ্তার করেছিলাম। সংশোধনাগারে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন মৃত্যু হয়। তাঁর পরিবারের লোকজন ভুল বুঝে থানায় এসে বিক্ষোভ দেখান। এই ঘটনায় আমাদের তিন জন পুলিশ কর্মী জখম হন।” জানা গিয়েছে, পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় জড়িত অভিযোগে প্রশান্ত মণ্ডল নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।