বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: সময় হাতে বেশি নেই। এর মধ্যেই যাবতীয় রণকৌশল স্থির করে ফেলতে হবে। আগেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল, কালীপুজোর পর জোট বৈঠকে বসবে বাম-কংগ্রেস (CPM-Congress)। সেইমতো ভাইফোঁটা মিটলেই বৈঠকে দিনক্ষণ ঠিক করে ফেললেন দুই শিবিরের নেতারা। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার ক্রান্তি প্রেসে একুশে যৌথ লড়াইয়ের রূপরেখা স্থির করতে আলোচনায় বসবেন বিমান বসু, অধীর চৌধুরিরা।
একুশে তৃণমূল-বিজেপিকে প্রতিহত করতে রাজ্যে জোট গড়ে লড়বে সিপিএম, কংগ্রেস। আলিমুদ্দিনের এই প্রস্তাবে পলিটবুরো, কেন্দ্রীয় কমিটির সিলমোহর পড়ার পর পুজোর মধ্যে সপ্তমীর দিন বৈঠকে বসেছিল দুই শিবির। সেদিন তাঁদের মধ্যে প্রাথমিক কথাবার্তা হয়। ঠিক ছিল, কালীপুজোর পর ফের এ নিয়ে আলোচনা হবে। সূত্রের খবর, বৈঠকের দিন ঠিক করতে রবিবার রাতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি (Adhir Ranjan Chowdhury) ফোন করেছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু ও সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রকে (Suryakanata Mishra)। রাতের দিকে ঠিক হয়, মঙ্গলবার আরএসপি’র ক্রান্তি প্রেসে ফের দু’পক্ষ বসবেন জোট বৈঠকে। তবে সময় এখনও স্থির করা হয়নি।
[আরও পড়ুন: দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত মেট্রো চালু হবে কবে? দিওয়ালির মরশুমে টুইটে জানালেন রেলমন্ত্রী]
আসলে বিহার ভোটের ফলাফলে বেশ উজ্জীবিত বঙ্গের কমরেডরা। সেখানে বিজেপি বিরোধী মহাজোটে লড়াই করে বেশ ভাল করেছে বামেরা। আপাতত সেটাই অনুপ্রেরণা। তুলনায় কংগ্রেসের ফল খারাপ। এই চিত্র সামনে রেখে এ রাজ্যেও জোটের শক্তিবৃদ্ধির পথে হাঁটতে চায় দু’পক্ষ। যৌথ কর্মসূচি পালনে জোর দেওয়া হবে। যেমন, আগামী ১৮ তারিখ বাম ছাত্র সংগঠনগুলির ডাকে কেন্দ্রের জনবিরোধী পদক্ষেপের প্রতিবাদে কংগ্রেসকেও শামিল হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্যও একমত। তিনিও জানান যৌথ কর্মসূচি ভালভাবে পালন করাই মূল লক্ষ্য। মঙ্গলবারের বৈঠকে এসব নিয়েই আলোচনা হতে পারে, এমনই সম্ভাবনা রয়েছে।