এলআইসির শেয়ার নিয়ে বাজার সরগরম। দেশের বৃহত্তম বিমা সংস্থাটির নয়া একক পলিসির নিরিখে ৭০ শতাংশ মার্কেট শেয়ার রয়েছে। পাশাপাশি এই ব্র্যান্ড বিশ্বের প্রথম দশটি ‘ভ্যালুয়েবল গ্লোবাল ব্র্যান্ড’-এরও অন্যতম। ব্রোকারদের সঙ্গে কথা বলে লিখল টিম সঞ্চয়
এলআইসির পাবলিক ইস্যু নিয়ে মার্কেট খুব তৎপর। যেমন লগ্নিকারীরা আইপিওতে বিনিয়োগ করার জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন, ব্রোকাররাও নতুন ইনভেস্টরদের উৎসাহ দিচ্ছেন অ্যাকাউন্ট খুলে তাঁদের জীবনের প্রথম স্টকটি কেনার ব্যাপারে।
ব্রোকারদের বক্তব্য সহজবোধ্য। দেশের বৃহত্তম বিমা সংস্থাটি যে স্টক হিসাবেও আদর্শ একটি হোল্ডিং হবে, এ ব্যাপারে তাঁরা আশাবাদী। এলআইসি কম-বেশি ২১ মিলিয়ন ইন্ডিভিজুয়াল পলিসি ইস্যু করেছে, নতুন ইনডিভিজুয়াল পলিসির নিরিখে ৭০% মার্কেট শেয়ার আছে সেটির। বিশ্বের প্রথম দশটি ‘ভ্যালুয়েবল গ্রোবাল ব্র্যান্ড’-এর মধ্যে পড়ছে। তাই সাধারণ লগ্নিকারীর পোর্টফোলিওতেও যেন এলআইসির শেয়ার থাকে।
[আরও পড়ুন: কমেছে ইপিএফও-র সুদ, নিশ্চিত রিটার্ন পেতে সম্পদ গচ্ছিত রাখবেন কোথায়?]
যখন আইপিও-তে লগ্নি করবেন, তখন মনে রাখবেন যে অ্যাপ্লিকেশন পদ্ধতি ‘পেপারেলস’ যেন হয়, রিফান্ড পাওয়ার পন্থাও যেন বিনা বাধায় সম্পূর্ণ হতে পারে। এই প্রসঙ্গে কয়েকটি প্রয়োজনীয় কথা:-
(ক) প্রাইস ব্যান্ড কী?
একটি ফ্লোর প্রাইস (নিচে) এবং ক্যাপ (উপরে) ধার্য করা হয়ে থাকে। যাঁরা সম্ভাব্য লগ্নিকারী, (Buyer) তাঁরা বিড করেন।
খ) কাট-অফ প্রাইস কী? আইপিও ইস্যুয়ার একটি অফার প্রাইস চিহ্নিত করেন, এটি প্রাইস ব্যান্ডের মধ্যেই থাকে। দরখাস্তকারীকে বিড করার সময় হায়েস্ট প্রাইস ধরে চলতে হয়।
lASBA কী? ASBA-র পুরো কথা হল Applications Supported by Blocked Accounts. যখন বিড করবেন লগ্নিকারীর অ্যাকাউন্টে নির্দিষ্ট পরিমাণে টাকা ‘ব্লক’ থাকবে, তবে যদি অ্যালটমেন্ট পাওয়া যায় তবেই সেটি ডেবিট করা হবে।
এ সমস্ত ছাড়াও বিনিয়োগকারীরা যেন বুঝে নেন তাঁদের অন্য করণীয় কী কী। তাঁরা তাঁদের বিড বদলাতে বা ‘উইথড্র’ করতে পারবেন। সর্ব্বোচ্চ কত বার ‘বিড’ করতে পারবেন, কোন ক্যাটেগরির মধ্যে তাঁরা আসেন, এই সমস্ত কিছু যেন সকলেই ভাল করে জেনে রাখেন। ‘সঞ্চয়’-এর পাঠকরা জানেন যে, রিটেল সেগমেন্টের ক্ষেত্রে দুই লক্ষ টাকার কমে বিড ধার্য করা হয়েছে। একই ‘প্যান’ বা ‘ডিম্যাট’ অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে একাধিক অ্যাপ্লিকেশন জমা দেওয়ার অনুমতি নেই। অনেক ব্রোকিং সংস্থাই নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার নীতির কথা জানিয়েছেন সম্ভাব্য দরখাস্তকারীদের। খুব সহজেই অনলাইন অ্যাকউন্ট তাঁরা খুলতে পারেন।
এই বিষয়ে ‘সঞ্চয়’ নিচের বৈশিষ্ট্যগুলির প্রতি লগ্নিকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে-
(১) ইন্টারনেট-বেসড ট্রেডিং করার জন্য eKYC করে নিন। ট্রেডিং ও ডিম্যাট, দুই অ্যাকাউন্টের জন্যই তা সুবিধাজনক হবে।
(২) ভেরিফিকেশন থেকে দরকারি তথ্যের আপলোড, সবই করতে হবে। ডকুমেন্ট যা লাগবে তা খুবই ‘কমন’, সে সব তৈরি রাখুন, আপলোড করার প্রয়োজন পড়বে।
(৩) ক্লায়েন্ট আইডি, পাসওয়ার্ড ইত্যাদি ব্যবহার করে স্টক কেনাবেচা করতে পারবেন। ইমেল ও মোবাইল নম্বর লাগবে। হাতের কাছে রেখে দিন।
(৪) পাওয়ার অফ অ্যার্টনি সংক্রান্ত নিয়ম জেনে রাখুন। যখন অনলাইন বিক্রি করবেন, তখন ‘POA’ দরকার হয়। নাহলে আপনার ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট থেকে ডেবিট হবে না। মার্জিন ইত্যাদির জন্যও ‘POA’ প্রয়োজন।
(৫) ব্রোকারদের নানা ধরনের ব্রোকারেজ স্কিম আছে। যেটি আপনার পক্ষে উপযোগী, সেটিই বেছে নেবেন। আপনার খরচ তার উপরই নির্ভর করবে।
(৬) নমিনির নাম ও তথ্য লাগবে, তাঁরও আইডেন্টিটি প্রুফ দরকার হবে।