সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে অমরনাথ যাত্রা। প্রতি বছর বিভিন্ন বয়সি কয়েক হাজার যাত্রী তীর্থ করতে যান। অমরনাথ মন্দিরে পৌঁছতে পাহাড়ি পথে প্রায় ১৪ কিলোমিটার লম্বা ট্রেকিং করতে হয়। সেই পথে রয়েছে চড়াই উতরাই। তীর্থযাত্রীদের সুস্থতার কথা মাথায় রেখে এবার নয়া বিধি চালু করল ‘শ্রী অমরনাথজি মন্দির বোর্ড কমিটি’। তীর্থযাত্রীরা কী খাবেন আর কী খাবেন না, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে মন্দির কমিটি। নিষিদ্ধ হয়েছে হাই ক্যালোরির খাবার।
অমরনাথের পথে যাত্রী যে সমস্ত খাবার নিয়ে যেতে পারবেন না
- ভাজাভুজি
- ফাস্ট ফুড
- ভাজা মিষ্টি যেমন- জিলিপি, গোলাপ জাম, রসগোল্লা
- ছোলে ভাটুরে
- লুচি
- পুরি
- পিৎজা
- ধোসা
- চাউমিন
কী কী খাওয়া যাবে?
- সেদ্ধ ভাত
- সেদ্ধ ছোলা
- পোহা
- উত্থাপম
- ইডলি
- ডাল-রোটি
- চকোলেট
- ক্ষীর
- ওটস
- ড্রাই ফ্রুটস
- মধু
- জ্বাল দেওয়া মিষ্টি
[আরও পড়ুন: স্কুলেই আছেন তো? বলে দেবে লাইভ লোকেশন, ‘ফাঁকিবাজ’ শিক্ষকদের জন্য নয়া ব্যবস্থা]
ট্রেকিংয়ের জন্য প্রথম শর্ত হল শারীরিক সুস্থতা। অতিরিক্ত উচ্চতায় শরীরে অতিরিক্ত ভিটামিন ও খনিজ লবন প্রয়োজন। আর এই ভিটামিন ও খনিজ লবণ পাওয়া যায় ফল ও সবজিতে। একান্ত যদি ফল, সবজি না পাওয়া যায় তাহলে সাপ্লিমেন্টারির মাধ্যমে এগুলি পাওয়া সম্ভব। এমনিতেই অতিরিক্ত উচ্চতায় রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায়। তাই এধরনের ট্রেকের জন্য পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া সবচেয়ে বেশি দরকার। তাই সেইমতো ডায়েট পরিকল্পনা করতে হবে।
শরীরে জলের মাত্রা অর্থাৎ হাইড্রেশন বজায় রাখা দরকার। সেজন্য ট্রেকিংয়ের সময় প্রতি তিন ঘণ্টায় ১ লিটার জল খাওয়া আবিশ্যিক। সঙ্গে খুব সামান্য নুন মিশিয়ে নিতে হবে। সুস্থ থাকার জন্য কার্বোহাইড্রেট প্রয়োজন হয়। বিশেষজ্ঞরা সাধারণত ট্রেকিংয়ের সময় মদ্যপান, কফি, এনার্জি বার খেতে নিষেধ করেন। সেই কথা মাথায় রেখেই এবার খাবারের নতুন চার্ট তৈরি করে দিল মন্দির কর্তৃপক্ষ।