সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শরীর যদি ব্যাধির বাসা হয় তাহলে সেই ব্যাধি থেকে আরোগ্য লাভ করাই আয়ুর্বেদের মূলমন্ত্র। আবার এই আয়ুর্বেদেই লুকিয়ে রয়েছে এমন অনেক উপাদান যাতে শরীরকে আরও সুন্দর করে তোলা যায়। সে বিষয়ই সম্প্রতি ‘ডিকোডিং লাক্সুরিয়াস আয়ুর্বেদা ফর স্কিন অ্যান্ড হেয়ার কেয়ার’ শীর্ষক আলোচনা চক্রের আয়োজন করা হয়েছিল তাজ বেঙ্গলে। যাতে বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি ছিলেন আগ্রহী মানুষজন।
ছোট্ট এক গ্যারাজ থেকে যাত্রা শুরু করেছিল আয়ুর্বেদিক প্রসাধনী বিপণি ‘ফরেস্ট এসেনসিয়ালস’ (Forest Essentials)। এখন সারা দেশে সংস্থার ১৬৮টি আউটলেট রয়েছে। অনলাইনেও অনায়াসে পাওয়া যায় এই প্রোডাক্ট। যাঁরা আবার ‘যুবতী’র মতো শিক্ষামূলক প্রকল্পেও অর্থ সাহায্য করে। এই সংস্থার অন্যতম সদস্য করিশ্মা মঙ্গা বেদীর (পরিকল্পনা এবং স্টোর লঞ্চের বিষয়গুলি দেখেন) মতে, আয়ুর্বেদ জীবনের বিজ্ঞান। ‘ফরেস্ট এসেনসিয়ালস’ বরাবর এই ঐতিহ্যকে সুনিপুণভাবে সৌন্দর্যের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে।
[আরও পড়ুন: ক্লান্ত পথিকরা শুধু মুখে না ফিরে যান! ‘মানবিক’ অরিজিতের বাড়ির সামনে রাখা জল-নকুলদানা]
ভেষজ উপাদানের বুদ্ধিদীপ্ত ব্যবহারের উপরই ভরসা রাখে ‘ফরেস্ট এসেনসিয়ালস’। তাই তো আয়ুর্বেদকে হাতিয়ার করে সৌন্দর্যের রূপকথাকে বাস্তবে পরিণত করে। বিভিন্ন মরশুমে বিভিন্ন ভেষজ উপাদান সংগ্রহ করে তৈরি করা হয় বিউটি প্রোডাক্ট। যা ত্বক ও চুলের খেয়াল রাখতে সাহায্য করে। কীভাবে আয়ুর্বেদ বিশ্ববাজারে কদর পাচ্ছে। সেকথাও আলোচনা হয়।
বিশেষ এই আলোচনা চক্রের মডারেটর ছিলেন সাবিনা রাংটা। বক্তব্য রাখেন ‘ফরেস্ট এসেনসিয়ালস’-এর সিনিয়র চিকিৎসক ডা. তরুণা যাদব। ত্বক ও চুলের ক্ষেত্রে আয়ুর্বেদিক উপাদান কতটা কার্যকর তা তিনি বিস্তারিতভাবে বোঝান। আয়ুর্বেদ প্রকৃতির কত বড় আশীর্বাদ, তাও বলেন।