পারমিতা পাল: ঘরে-ঘরে বাচ্চাদের জ্বর-সর্দি-কাশি। সঙ্গে শ্বাসকষ্ট। কারও কারও আবার ভয়ানক পেট খারাপ। নিউমোনিয়া নাকি অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্তে বাড়ির খুদে সদস্য, তা নিয়ে বর্তমানে চিন্তিত বাংলার প্রায় প্রত্যেক বাবা-মা। বয়স যত কম, ভয় যেন তত বেশি! কখনও কখনও জ্বর-সর্দি-কাশি হলে বাড়িতে রেখেই সামান্য ওষুধ দিয়ে বাড়িতেই চিকিৎসা সেরে ফেলতে চান। কিন্ত তারপর দেখা যায় শিশুটির বাড়াবাড়ি হচ্ছে। তাহলে কী কী উপসর্গ দেখে বুঝবেন শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে? কীভাবে বুঝবেন আপনার সন্তান অ্যাডিনো ভাইরাস আক্রান্ত না কি নিউমোনিয়া, কীভাবেই বা সতর্ক থাকবেন? উত্তর দিলেন শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. অপূর্ব ঘোষ।
কী বললেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক? শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে কি না তা জানতে তিনটি উপসর্গে দিকে নজর রাখতে হবে। তিনটি F-ফিভার, ফিডিং ও ফাস্ট ব্রিদিং। অর্থাৎ প্রথম উপসর্গ-শিশুটির জ্বর কতটা উঠছে। দ্বিতীয় উপসর্গ- শিশুটির খিদে রয়েছে কি না, খাওয়ার পর খাবার কতক্ষণ তাদের পেটে থাকছে। তৃতীয় উপসর্গ- কত দ্রুত নিশ্বাস নিচ্ছে সে। যদিও এই শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি বয়সের হারের উপর নির্ভর করে।
[আরও পড়ুন: ডাক মেলেনি ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে! ক্ষোভে দল ছাড়ছেন প্রধান সহ-২৩ পঞ্চায়েত সদস্যের]
কীভাবে এড়াবেন সংক্রমণ? শিশু চিকিৎসকের পরামর্শ, এখন কিছুদিন ভিড় এলাকা এড়িয়ে চলা উচিত শিশুদের। আপাতত প্রয়োজনে প্লে স্কু, প্রি স্কুল, ডে কেয়ারের মতো জায়গায় না যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি। জ্বর, সর্দি, কাশি, পেট খারাপের পাশাপাশি কংজাংটিভাইটিস অর্থাৎ চোখ লাল থাকলে শিশুটি অ্যাডিনো ভাইরাস আক্রান্ত বলে ধরা হতে পারে। তবে ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা না করে এ বিষয় সম্পূর্ণ নিশ্চিত হওয়া যায় না বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসক ডা. অপূর্ব ঘোষ।