সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সঙ্গমের চরম মুহূর্তে লিঙ্গে মাখিয়েছিলেন মাদক। সেই অবস্থাতেই প্রেমিকা মুখমেহনে লিপ্ত হন। এইভাবে মাদক শরীরে প্রবেশ করায় ৩৮ বছরের মহিলার মৃত্যু হয়। ঘটনার জেরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় জার্মানিতে। প্রেমিকাকে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় আন্ড্রেয়াস নিডরবিকলর নামের জার্মান চিকিৎসককে (Germany Doctor)। তাঁকে ৯ বছরের হাজতবাসের সাজা শোনানো হল।
জানা গিয়েছে, প্লাস্টিক সার্জারির জন্য বেশ সুনাম ছিল আন্ড্রেয়াসের। সেই সূত্রেই প্রেমিকা ইয়োভোনি এমের সঙ্গে দেখা হয়। দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে চিকিৎসকের বাড়িতেই দু’জনে সঙ্গমে লিপ্ত হন। সেই সময় লিঙ্গে কোকেন লাগান আন্ড্রেয়াস। তারপরই মুখমেহনে লিপ্ত হন ইয়োভোনি। অতিরিক্ত মাদকের প্রভাবে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। বিপদ বুঝে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান আন্ড্রেয়াস। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। হাসপাতালেই প্রাণ হারান ৩৮ বছরের মহিলা।
[আরও পড়ুন: জীবনে জোটেনি নারীসঙ্গ, রাগের চোটে ৩ হাজার মহিলাকে খুনের ছক মার্কিন যুবকের ]
শোনা যায়, আরও তিনজন মহিলাকে তাঁদের অজান্তে মাদক দিয়েছিলেন আন্ড্রেয়াস। তবে ইয়োভোনির মৃত্যুর পর বিপাকে পড়েন তিনি। এই ঘটনার কিছুদিন পরে আন্ড্রেয়াসকে গ্রেপ্তার করা হয়। বেশ কিছুদিন ধরে মামলা চলে জার্মানির আদালতে। বাদানুবাদ চলাকালীন চিকিৎসকের আইনজীবী বলেন, মুখমেহনে লিপ্ত হওয়ার সময় ইয়োভোনি ভালভাবেই জানতেন তাঁর প্রেমিকের লিঙ্গে মাদক মাখানো হয়েছে। তাই এ ঘটনাকে খুন হিসেবে ব্যাখ্যা করা যায় না। কিন্তু তাঁর এই যুক্তি মানতে নারাজ ছিলেন বিচারপতি। ৪৬ বছরের আন্ড্রেয়াস নিডরবিকলরকে সাজা শুনিয়ে দেন তিনি।
প্রেমিকাকে খুনের জন্য চিকিৎসকের ৯ বছরের জেল হয়েছে। পাশাপাশি তাঁকে ক্ষতিপূরণও দিতে হবে। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১০ লক্ষ টাকা দিতে হবে চিকিৎসককে। ইয়োভোনির চিকিৎসার জন্য এই অর্থ খরচ হয়েছিল। তা দিয়েছিল জীবনবিমা সংস্থা। তাই জীবনবিমা সংস্থাকেই এই টাকা চিকিৎসক দেবেন বলেই জানিয়েছেন বিচারপতি।