অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: নির্জনে রাত কাটাতে কে না ভালোবাসে! আর যদি সেটা হয় পাহাড়ের কাছাকাছি, জলের উপর তাহলে কেমন হয়? দার্জিলিং বা সিকিম যাওয়ার পথে একটা রাত যদি কাটে হাউসবোটে, তাও আবার নামমাত্র খরচে, কেমন হয় বলুন তো? কল্পনা নয়, একেবারে বাস্তব। শিলিগুড়ি শহর থেকে অদূরে মাত্র ১ হাজার টাকায় মিলছে ‘হাউসবোটে’ একরাত থাকার সুযোগ। উপরি পাওনা দু’বেলা অর্গানিক খাবার।
শিলিগুড়ি শহরের অদূরে নকশালবাড়ি ব্লকে গড়ে উঠেছে জলের উপর ভাসমান হোম স্টে। নকশালবাড়ির বাসিন্দা রূপেশকুমার মল্লিক ইন্টারনেটে দেখে জলের উপর হোম স্টে বানানোর পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। তারপর প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা খরচ করে তিনি বানিয়ে ফেলেছেন উত্তরবঙ্গের ‘হাউসবোট’। সঙ্গে রয়েছে রেস্তরাঁও। সেখানে সব অর্গানিক খাবার পরিবেশন করেন রূপেশবাবু। একরাত থাকা সঙ্গে নৈশভোজ ও প্রাতঃরাশের খরচ মোটে ১ হাজার টাকা।
[আরও পড়ুন: ‘শিলিগুড়ির বিধবাকে রক্ষিতা বানিয়ে ফুর্তি’, সৌমিত্রর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সুজাতা]
রূপেশবাবু জানিয়েছেন, ইন্টারনেটে প্রথমবার ভাসমান হোম স্টে-র ছবি দেখেছিলেন। তারপর থেকেই তাঁর মনে ইচ্ছে জাগে এমন একটা বাড়ি বানাবেন। নিজের কারিগরি বুদ্ধি ব্যবহার করে জলের ড্রাম দিয়ে তার উপরে প্ল্যাঙ্কিং বসিয়ে আস্ত একটা বাড়ি বানিয়ে ফেলেছেন। যা জলের উপর ভাসছে। আর তা দেখতেই দূর থেকে লোক আসছে সেখানে।
[আরও পড়ুন: বিষ্ণুপুরের তৃণমূল নেতা খুনে সুপারি কিলার? বরাত দিল কে? তথ্য খুঁজছে পুলিশ]
এমনই এক পর্যটক রিয়া রায় জানান, “এখানে এলেই আমার মন শান্ত হয়ে যায়। প্রকৃতির মাঝখানে এমন বাড়ি দেখতে সবাই সকলে আসে। শহর এবং শহর লাগোয়া আর কোনও জায়গায় এমন দৃশ্য দেখতে পাবে না কেউ।” তিনি যখন প্রথমবার এসেছিলেন তখনই জায়গাটি এতো ভাল লেগেছে যে বারবার তাঁর মন টানে। রিয়া আরও বলেন “এখানকার খাবার অত্যন্ত সুস্বাদু তাই বারবার চলে আসি। মন ভাল হয়ে যায় আমার।” প্রথমবার ঘুরতে আসা বিভান ঢালী জানান,”আমি তো পুরো অবাক এরকম দৃশ্য আগে কখনও দেখিনি। আমি বাকিদের বলব, যাঁরা এখনও দেখেনি তাঁরা একবার এখানে এসে এই ভাসমান বাড়িতে দেখে যেতে পার এবং থেকেও যেতে পার।”