সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বর্ষা মানেই ইলিশের মরসুম। আর হেঁশেল থেকে আসা ইলিশের গন্ধে ম-ম করা বাড়ি। ভাজা থেকে ভাপা, পাতুরি, ঝোল … ইলিশের হরেক পদ একেক দিন ঠাঁই পায় পাতে। এপার-ওপার তরজা ভুলে পদ্মার ইলিশে কবজি ডোবান খাদ্যরসিকরা। তবে এই মাছের ডিমের উপকারিতাও কম নয়। স্বাদে অতুলনীয়। আর পুষ্টিগুণও দারুণ। ইলিশ মাছের ডিমের উপকারিতা জানলে এক্ষুণি বাজারে ছুটবেন।
কী করে চিনবেন ডিমওয়ালা ইলিশ? এধরণের মাছের পেট খানিকটা উঁচু এবং মোটা থাকে। আকৃতিতে চ্যাপ্টা। তবে এপ্রসঙ্গে উল্লেখ্য, পেটে ডিমওয়ালা ইলিসের স্বাদ কিন্তু তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম। ডিম হওয়ার আগে অবধি সাধারণত স্বাদ বেশি হয়। তবে পেটে ডিমওয়ালা ইলিশের চাহিদাই বেশি। সরষে দিয়ে ডিমওয়ালা ইলিশ আহা!
এবার আসা যাক উপকারিতার কথায়-
১) চিকিৎসকদের মতে, ইলিশ মাছের ডিমে নানা পুষ্টিগুণ রয়েছে। ডিমে এমন কিছু উপাদান থাকে, তা শরীরের নানা সমস্যা দূরীকরণে সাহায্য করে। ইলিশের ডিমে থাকা ইপিএ, ডিএইচ, ডিপিএ মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উন্নতিসাধন করে।
২) এছাড়াও ইলিশের ডিমে থাকে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। যা কিনা রিউম্যাটয়েড আর্থারাইটিস দূরীকরণে সাহায্য করে। এই ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড আবার মানসিক অবসাদ, অ্যাংজাইটি, ডিপ্রেশন কাটিয়ে মানসিক স্বাস্থ্য চাঙ্গা করতে সাহায্য করে।
৩) ইলিশ মাছের ডিমে থাকা ভিটামিন এ চোখের জন্য খুব উপকারী। ইপিএ, ডিএইচ শিশুদের চোখ ঠিক রাখতে খুব কার্যকরী। রেটিনাকেও ভাল রাখে।
৪) ইলিশ মাছের ডিম হিমোগ্লোবিন বাড়িয়ে রক্তাল্পতাও দূর করে। এবং রক্ত পরিষ্কার করতেও সাহায্য করে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
৫) ইলিশ মাছের ডিমে ভরপুর ভিটামিন ডি থাকে। যা শরীরের হাড় শক্ত করে। দাঁতকেও মজবুত রাখে। হার্টের অসুখও প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে এই মাছের ডিমে থাকা উপাদান।