shono
Advertisement
Prescription Plus

কেমিক্যাল পিলে মুখ পুড়ে যাওয়ার অভিযোগ, প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার ফেশিয়ালিস্টের বিরুদ্ধে ৩১ লক্ষ টাকার মামলা

সেলিব্রিটি ফেশিয়ালিস্ট সোনিয়া ডাকারের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ!
Published By: Buddhadeb HalderPosted: 05:32 PM Dec 10, 2025Updated: 05:43 PM Dec 10, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিউটি স্টুডিওতে কেমিক্যাল পিল একটি জনপ্রিয় ট্রিটমেন্ট। ত্বকের উজ্জ্বলতা বা টেক্সচার বজায় রাখতে এই এক্সফোলিয়েটিং সলিউশনের কোনও তুলনা হয় না। কিন্তু এই ধরনের চিকিৎসায় ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থের সঠিক ডোজ এবং তার প্রয়োগ পদ্ধতি সম্পর্কে জ্ঞান থাকা অপরিহার্য। নাহলেই ঘটতে পারে বড়সড় বিপদ। সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়ার সেলিব্রিটি ফেশিয়ালিস্ট সোনিয়া ডাকারের বিরুদ্ধে এমনই এক গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এক গ্রাহক অভিযোগ এনেছেন, সোনিয়ার ট্রিটমেন্টের ফলে তার মুখে স্থায়ীভাবে পোড়া ছোপ ছোপ দাগ তৈরি হয়। ঘটনাটি ইন্সটাগ্রামে পোস্ট করে বিস্তারিত জানানোর পরই কসমেটিকস শিল্পে গ্রাহকের নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

Advertisement

২০২১ সালের এপ্রিলে বেভারলি হিলসে সোনিয়া ডাকারের স্টুডিওতে এই ঘটনার সূত্রপাত বলে জানা যাচ্ছে। ভিক্টোরিয়া নেলসন নামে এক মহিলা সোনিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন। তিনি জানান, ট্রিটমেন্টের সময় সোনিয়া তাঁর মুখে একটি অজানা কেমিক্যাল ব্যবহার করেন। সেই সময় তিনি মুখে তীব্র জ্বালা অনুভব করতে থাকেন। এই রাসায়নিকের কারণে ভিক্টোরিয়ার মুখে গুরুতর কেমিক্যাল বার্ন হয়। এতে তাঁর মুখে স্থায়ী ভাবে দাগ পড়ে। সোনিয়া যদিও তখন বলেছিলেন যে এক মাসের মধ্যেই দাগগুলি সেরে যাবে। কিন্তু ভিক্টোরিয়া দু’বছর ধরে মোট ৩০টি সেশন (২০২১ সালে ১৮টি এবং ২০২২ সালে ১২টি) করিয়েও সুস্থ হননি। এই চিকিৎসার জন্য তাঁর প্রায় ৬০,০০০ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ৪৯ লক্ষ টাকা) খরচ হয়ে গিয়েছে।ভিক্টোরিয়া পরে জানতে পারেন, সোনিয়া যে তরল ব্যবহার করেছিলেন, তা ছিল মেডিক্যাল-গ্রেড বা চিকিৎসা স্তরের রাসায়নিক। এস্থেটিশিয়ানদের এই ধরনের রাসায়নিক ব্যবহারের লাইসেন্স বা অনুমতি নেই। এছাড়াও, সমস্যা সমাধানের জন্য সোনিয়া যে মাইক্রোনিডলিং পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন, সেটিও তার ক্যালিফোর্নিয়া বোর্ড অফ বারবারিং অ্যান্ড কসমেটোলজি লাইসেন্সের আওতায় পড়ে না।

বর্তমানে ভিক্টোরিয়া ব্যক্তিগতভাবে সোনিয়ার বিরুদ্ধে প্রতারণা, লাইসেন্স ছাড়া চিকিৎসা প্রভৃতি গুরুতর অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন। তিনি ৩১ লক্ষ টাকার বেশি ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন। অন্যদিকে, অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসও সোনিয়া ডাকারের প্রতিষ্ঠান ও এস্থেটিশিয়ান উভয়ের লাইসেন্স স্থায়ীভাবে বাতিলের জন্য উদ্যোগ নিচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • ২০২১ সালের এপ্রিলে বেভারলি হিলসে সোনিয়া ডাকারের স্টুডিওতে এই ঘটনার সূত্রপাত বলে জানা যাচ্ছে।
  • ভিক্টোরিয়া নেলসন নামে এক মহিলা সোনিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন।
  • বর্তমানে ভিক্টোরিয়া ব্যক্তিগতভাবে সোনিয়ার বিরুদ্ধে প্রতারণা, লাইসেন্স ছাড়া চিকিৎসার অভিযোগে মামলা করেছেন।
Advertisement