সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পর্নোগ্রাফি মানেই গোপনীয়তা। তাই পর্ন ওয়েবসাইটগুলি নিষিদ্ধ করতে হবে। এই মানসিকতা থেকে বেরিয়ে এসে পর্নোগ্রাফিকে স্বাভাবিক এবং ‘বোরিং’ বা একঘেয়ে করে তোলা হোক। এমনই দাবি করেছেন জনপ্রিয় পর্নোগ্রাফি সাইট পর্নহাব।
কিন্তু ঠিক কেন এমন আরজি? পর্নহাবের কর্ণধার এর মধ্যে দিয়ে ঠিক কী বোঝাতে চেয়েছেন? আসলে একাধিক কারণে মার্কিন মুলুকের বিভিন্ন শহরে নীল ছবির ওয়েবসাইটগুলিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নির্দেশ দেওয়া হয়, ইউজারদের বয়স ভেরিফাই না করে এই ওয়েবসাইট ব্যবহার করা যাবে না। এমনকী বয়স যাচাইয়ের কোনও অপশন না রাখায় আইনি জটিলতার মধ্যেও পড়তে হয় দু’টি পর্ন সাইটকে। তবে পর্ন সাইটগুলির উপর যাতে কোপ না পড়ে, তার জন্য উদ্যোগে কানাডার বেসরকারি একটি সংস্থা।
[আরও পড়ুন: মোদির মুকুটে নয়া পালক, মিশরের সর্বোচ্চ সম্মান পেলেন প্রধানমন্ত্রী]
এই সংস্থার সাফ কথা, তারা চায় না অপ্রাপ্তবয়স্করা এই ধরনের সাইটে আসক্ত হয়ে পড়ুক। শিশুদের উপর কোনও প্রভাব পড়ুক, সেটাও কাম্য নয়। ফলে বয়স যাচাই জরুরি। কিন্তু সেই অপশনটি চালু করে কিংবা বাধ্যতামূলক করে এই সমস্যার সমাধান করা হোক। অর্থাৎ সংস্থার দাবি, এই জটিলতার জন্য যেন নিষেধাজ্ঞার মুখে না পড়তে হয় অ্যাডাল্ট সাইটগুলিকে। সমাধানসূত্র হিসেবে ডিভাইস অথবা ব্রাউসের উপর ভিত্তি করে ভেরিফিকেশনের ব্যবস্থার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ২০২০ সালে মার্কিন সরকারের রোষের মুখে পড়েছিল একাধিক সাইট। এমনকী ২০২১ সালে প্রায় ৮০ লক্ষ কনটেন্ট সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। তাই ভেরিফিকেশনের জটিলতাকে সহজ করে পর্ন ওয়েবসাইটকে স্বাভাবিক ও ‘একঘেয়ে’ স্থানে পরিণত করতে চাইছেন পর্নহাবের কর্ণধার।