সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সময়ের সঙ্গে বদলাচ্ছে প্রেমের ধরণও। দীর্ঘদিনের অপেক্ষার পর একঝলক দেখা, একটা চিঠির জন্য প্রহর গোনা, এখন অতীত। স্মার্টফোনের দৌলতে এখন আর অপেক্ষা করতে হয় না প্রেমিক-প্রেমিকাকে। দ্রুত যেমন সম্পর্ক তৈরি হয়, বিচ্ছেদও হয় অহরহ। সিচুয়েশনশিপ, ন্যান্যোশিপের মতো জটিল শব্দ জড়িয়ে পড়েছে সম্পর্কের সঙ্গে। তেমনই একটি শব্দ 'পকেটিং'। জানেন কী এই 'পকেটিং'? এর কারণই বা কী?
অনেকক্ষেত্রেই দেখা যায়, দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। প্রতিমুহূর্তে যোগাযোগে থাকেন দু'জন। নিয়মিত দেখাও হয়। কিন্তু দেখা যায়, অনেকসময় বছরের পর বছর সম্পর্কের পরও হয়তো প্রেমিক বাড়িতে বা ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সঙ্গে আলাপই করায় না প্রেমিকাকে। হয়তো সোশাল মিডিয়াতেও একসঙ্গে ছবি পোস্ট করেন না। অর্থাৎ বহির্জগতের সামনে প্রেমিকাকে আনতেই চান না অনেকে। ফলে প্রেমিকার মনে নানারকম প্রশ্ন ভিড় করে। আদৌ প্রেমিক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তো? তা নিয়েও সংশয় জাগে মনে। এটাই হচ্ছে পকেটিং। অর্থাৎ প্রেমিক বা প্রেমিকাকে সকলের আড়ালে রাখা।
প্রতীকী ছবি।
কিন্তু এমন প্রবনতা দেখা যায়?
বিশেষজ্ঞদের দাবি, কেউ পকেটিং করছে মানেই যে সম্পর্কের ব্যাপারে অনিশ্চিত, বা ভালোবাসেন না তা কিন্তু নয়। ব্যতিক্রমও রয়েছে। নেপথ্যে কয়েকটি কারণকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।
১. অনেকেই কথা দিতে ভয় পান। প্রেমিকাকে সর্বসমক্ষে আনা মানেই সম্পর্কটা পাবলিক করা। পরবর্তীতে যদি সম্পর্ক না টেকে? এই ভয়েই নিজের জগতের থেকে প্রেমিকাকে দূরেই রাখেন অনেকে।
২. অনেকক্ষেত্রেই দেখা যায়, সম্পর্কে জড়ালেও একজনের প্রতি দায়বদ্ধ হতে চান না যুবকেরা। তারা সর্বদা 'বেটার অপশনে'র খোঁজে থাকেন। তাই চেষ্টা করেন প্রেমিকাকে পরিচয় না করাতে।
প্রতীকী ছবি
৩. প্রেমিকাকে পরিচয় করালেই তাঁকে নিয়ে, তাঁর পরিবারকে নিয়ে কাটাছেঁড়া করতে বসবে পরিবার, পরিজন, বন্ধুরা, এই ভয়েও অনেকে পকেটিং-এর পথ বেছে নেন।
৪. কেউ কেউ আবার সম্পর্কের মতো মিষ্টি ব্যাপার গোপনই রাখতে চান। এখানে লজ্জা, প্রতারণার কোনও বিষয়ই নেই। এরা 'প্রেম গোপনেই সুন্দর' তত্ত্বে বিশ্বাসী।
