সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা (CoronaVirus) কালে স্বাস্থ্যের কদর বেড়েছে। বেড়েছে স্বাস্থ্যকর খাবারের চল। মাসকাবারি সামগ্রীর তালিকায় এখন রসনাতৃপ্তির চাইতে বেশি পুষ্টিকর খাবার অগ্রাধিকার পাচ্ছে। টাকা দিয়ে সামগ্রী কিনছেন বটে, তাতে উপকার কি পাচ্ছেন? যাকে স্বাস্থ্যকর খাবার ভাবছেন তা কি আদৌ স্বাস্থ্যকর? নাকি নিজের অজান্তেই অস্বাস্থ্যের বিপদ ডেকে আনছেন। ব্যাপারটা স্পষ্ট হচ্ছে না? একটু বিস্তারিত করে বলা যাক তাহলে! বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, স্বাস্থ্যকর খাবার সম্পর্কে কিছু ভুল ধারণা রয়েছে। এমনই কিছু ভুল ধারণা ভাঙার সময় এসে গিয়েছে। যেমন –
১) অনেকেই ভাবেন ভেজিটেবল অয়েল (vegetable oils) ঘি কিংবা মাখনের থেকে বেশি উপকারী। অলিভ অয়েল কিংবা রেপসিড অয়েলের ক্ষেত্রে তা কিছুটা হলেও সত্যি। কিন্তু সয়াবিন তেল, ক্যানোলা অয়েল কিংবা কর্ন অয়েলের ক্ষেত্রে তা ভুল। এই তেলগুলিতে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে।
২) কার্বস (Carbs)। আধুনিক ডায়েট জ্ঞান সম্পন্ন মানুষের কাছে এ শব্দ সুপরিচিত। বহু বছর ধরে ওজন বাড়ার জন্য এই জাতের খাদ্যসামগ্রীকে কাঠগড়ায় তোলা হয়। আদতে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার শরীরকে শক্তি জোগায়। শরীরে কার্বের পরিমাণ কমে গেলে ফাইবারও কমে যায়। এতে বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়।
[আরও পড়ুন: মনের সুখে মাখন খেলেও বাড়বে না ওজন, বাড়িতেই বাটার বানান এই পদ্ধতিতে]
৩) অনেকেই ফ্যাট-ফ্রি ডায়েট অনুসরণ করেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ওজন কমানোর তাগিদে এমন সিদ্ধান্ত। অতিরিক্ত ফ্যাট শরীরের ক্ষতি করে। তবে দেহের ভারসাম্যের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ফ্যাট জাতীয় খাবার প্রয়োজন। এতে হৃদরোগ, মানসিক কষ্ট, অটিজম, ট্রমার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। স্মৃতিশক্তি ভাল থাকে।
৪) কোলেস্টেরলের (cholesterol) ভয়ে অনেকেই ডিম খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখেন। কিন্তু সুস্থ মানুষের শরীরে ডিমের মাধ্যমে কোলেস্টেরলের প্রভাব বেড়েছে, এমন কোনও উদাহরণ এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তার বদলে শরীরে পুষ্টির জোগান দিতে ডিমের (Eggs) জুড়ি মেলা ভার।
৫) অনেকেরই ধারণা গ্লুটেন মুক্ত (Gluten-free) খাবার খেলে ওজন কমানো যায়। হ্যাঁ, যাঁদের অ্যালার্জি রয়েছে তাঁদের গ্লুটেন মুক্ত খাবারই খেতে হয়। কিন্তু যাঁরা ওজন কমবে বলে খেয়ে থাকেকান, তাঁরা না জেনেই খাচ্ছেন। কারণ গ্লুটেন মুক্ত খাবার খেলে ওজন কমার প্রমাণ এখনও পর্যন্ত কোনও গবেষণায় মেলেনি।