সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খেলব হোলি, ভাং খাব না, তাই কখনও হয়? দোল মানেই ভাংয়ের রঙে মজে যাওয়ার দিন। অনেকের বাড়ির দোল উৎসবের আয়োজনেই এই পাণীয় মাস্ট! তবে অতি ভাংয়ের রং চড়লে কিন্তু মুশকিল! হয় পেটে খিল ধরবে হাসতে হাসতে, নয় তো বনবন করে ঘুরবে মাথা। আর ভাঙের হ্যাংওভার কিন্তু মারাত্মক! তাই পরদিন অফিস থাকলে আগেভাগেই সেই হ্যাংওভারের ভূত ছাড়ানোর টিপস জেনে নিন।
১) ভাং বা অ্যালকোহল যাই খান, তার ফাঁকে ফাঁকে জল খেতে ভুলবেন না। এতে শরীর চট করে ডিহাইড্রেটেড হবে না।
২) একেবারে খালি পেটে পানীয় না খেয়ে অল্প কিছু খাবার সঙ্গে খান।
৩) ভাং বা অ্যালকোহল যাই খান, চেষ্টা করুন আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী অর্থাৎ শরীর বুঝে খেতে। তাড়াহুড়ো বা অন্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে না খাওয়াই ভাল।
৪) ড্রিঙ্ক করার পরের দিন মাথা ধরার প্রধান কারণ ডিহাইড্রেশন। মাথা যদি ধরেই যায় অল্প করে বারেবারে জল খান। ডাবের জল, অল্প মধু দিয়ে জল, চিনি ছাড়া লেবুর জলও খাওয়া যেতে পারে।
৫) পার্টিতে যাওয়ার আগে এক চামচ অলিভ অয়েল বা বাটার খেয়ে নিন। এতে পাকস্থলীর অ্যালকোহল শোষণ করতে সময় বেশি লাগবে।
৬) প্রাতঃরাশ স্কিপ করবেন না। এক পিস পাউরুটি, সঙ্গে একটা কলা বা অন্য কোনও ফল খান। আপেল, কলা, কলার স্মুদিও হ্যাংওভার কাটাতে সাহায্য করে। কলা, পিনাট বাটার, দুধ মিশিয়ে তৈরি স্মুদিও জলখাবারে খাওয়া যেতে পারে।
৭) হোলির পরদিন ভারী খাবার এড়িয়ে চলুন। বদলে টোম্যাটো স্যুপ, ক্লিয়ার স্যুপ, নুডল স্যুপ ও হালকা সহজপাচ্য খাবার খান।
[আরও পড়ুন: দোলের দিন বাড়িতে নিয়ে আসুন এই ৪ শুভ জিনিস, ফল পাবেন হাতেনাতে]
৮) আদা হ্যাংওভারের অব্যর্থ দাওয়াই। বিশেষত, পরদিনের গা গোলানো ও বমিভাব কাটানোর জন্য। কাঁচা আদার কুচি মুখে রাখতে অসুবিধা হলে ক্যান্ডিড জিঞ্জারও কাজ করবে। প্রতি দু’ঘণ্টা অন্ত দু’তিন কুচি আদা চিবিয়ে খেয়ে নিন। ১/২ চা চামচ আদা কুরনো, অল্প পাকা তেঁতুলের ক্বাথের সঙ্গে ১ চা চামচ ব্রাউন সুগার মিশিয়ে খেলেও গা বমি ভাব থেকে উপকার পাবেন।
৯) ৫ কাপ জলে ১ চা চামচ নুন ও ৪ চা চামচ চিনি মিশিয়ে নিন। ‘স্যালাইন ওয়াটার’ বারেবারে খান। ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করেও খেতে পারেন।
১০) ড্রিঙ্ক করার পরদিন সকালে উঠে কফি হ্যাংওভার বাড়িয়ে দিতে পারে। পরিবর্তে গ্রিন টি খান।
১১) হ্যাংওভারের ক্লান্তি কাটাতে ঠান্ডা জলে স্নান করুন।