সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নতুন রং করলে দেওয়ালগুলো বড্ড সুন্দর লাগে। তবে সে সুখ চিরস্থায়ী হয় না। সময়ের সঙ্গে দেওয়ালে নোনা ধরতে শুরু করে। বিশেষ করে বর্ষা কালে। স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়া দাপট সহ্য করতে পারে না সিমেন্ট, বালি ও ইট দিয়ে গাঁথা দেওয়ালগুলো।
বৃষ্টি ছাড়াও আরও একাধিক কারণে দেওয়ালে নোনা ধরতে পারে। বাড়ি তৈরি করার সময় যদি বেশি পরিমাণে ক্যালশিয়াম কার্বোনেট, ম্যাগনেশিয়াম সালফেট, সোডিয়াম সালফেট, ক্লোরাইড কিংবা নাইট্রেট জাতীয় জিনিস ব্যবহার করা হয়। বাড়িতে বা ছাদে যদি ভাল নিকাশি ব্যবস্থা না থাকে তাহলেও নোনা ধরা শুরু হয়ে যায়। দেওয়াল তৈরির সামগ্রী ভাল না হলে অল্প সময়েই দেওয়ালে নোনা ধরে যায়। প্লাস্টার থাকলে তা খসে পড়তে থাকে।
[আরও পড়ুন: সাধন পাণ্ডের মৃত্যুতে অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা রাজ্যের]
এর থেকে বাঁচার উপায় কী?
সব সমস্যার মতো এরও সমাধান রয়েছে। বাড়িতে যাতে ভালভাবে হাওয়া, বাতাস এবং রোদ প্রবেশ করতে পারে। সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পর্দা ভিজে গেলেই খুলে অন্য জায়গায় শুকোতে দেবেন।
সস্তার সুবিধা পেতে নিম্নমানের রং দেওয়ালে লাগাবেন না। হ্যাঁ, ভাল রং লাগানোর পরও দেওয়ালে নোনা ধরতে পারে। তবে তা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। ১ থেকে ২ বছর অন্তর দেওয়ালের রং পালটে ফেলা ভাল।
নোনা ধরার পরিমাণ বেড়ে গেলে পুরনো প্লাস্টার ছাড়িয়ে ফেলাই ভাল। নতুন করে প্লাস্টার করে তাতে রংয়ের প্রলেপ দিতে পারেন।
ভিজে ভাব শুষে নিতে কাঠের জুড়ি মেলা ভার। তাই কংক্রিটের দেওয়ালের উপর কাঠের ফলস দেওয়াল লাগাতে পারেন।
আরেকটি উপায়ের কথা শোনা যায়। তেঁতুল ও রসুনের রস লাগানো। আগে দেওয়ালগুলি ভাল করে পরিষ্কার করে নিতে হয়। তারপর তেঁতুল ও রসুনের রস লাগিয়ে দিতে হয়। তারপর রঙের প্রলেপ। এতে নাকি সহজে নোনা ধরে না।