সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনেকেই ভূত ব্যাপারটাকে একেবারেই পাত্তা দেন না। ‘জো হোগা দেখা জায়েগা’ বলে অন্ধকারের দিকে পা বাড়ান। যদি একবার সাক্ষাৎ পাওয়া যায় তেঁনাদের! যদি আপনার মনেও ভূত নিয়ে এরকম ভাবনা চিন্তা থাকে, তাহলে একবার ঘুরে আসুন এই ৩ জায়গায়। দেখবেন ভূত সম্পর্কে আপনার ধারণা একেবারেই বদলে গিয়েছে।
সিংহগড় দুর্গ, পুণে
দুর্গ ব্যাপারটাই একেবারে গা ছমছমে। তা দিনের বেলা হোক কিংবা রাতে। এদিকে যেমন দুর্গের দেওয়াল ইতিহাসের কথা বলবে। তেমনই সেই দেওয়ালেই ফুটে উঠবে রক্তের দাগ। প্রতিহিংসা। অন্তত, এলাকাবাসীরা সেরকমটিই বলে থাকে। শোনা যায়, সন্ধে নামলেই এই দুর্গে শোনা যায় ঘোড়ার পায়ের আওয়াজ। দুর্গের একপ্রান্তে নাকি অনেকেই এক মারাঠা যোদ্ধাকে যুদ্ধের পোশাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছেন। শুধ তাই নয়, সন্ধে নামলে এই দুর্গের ভিতর শোনা যায় নানা ভৌতিক আওয়াজ। তাই বিকেলে পর্যটকদের এখানে যাওয়া মানা।
[আরও পড়ুন: পুজোর গন্তব্য উত্তরবঙ্গ? ২০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু ‘সবুজের পথে হাতছানি’র বুকিং]
টাওয়ার অফ সাইলেন্স, মুম্বই
নাম শুনলেই গা একেবারে ছমছম করে উঠবে। শুধু মুম্বইয়ে নয়। নানা শহরেই থাকে টাওয়ার অফ সাইলেন্স। পারসি সম্প্রদায়ের মানুষরা এখানে মৃতদেহ সৎকার করে। তবে মুম্বইয়ের টাওয়ার অফ সাইলেন্স কিন্তু বেশ জনপ্রিয় নানা ভূতুড়ে কাণ্ডের জন্য। পারসি সম্প্রদায়ের সংৎকারের নিয়ম অন্যরকম। তাঁরা মৃতদেহগুলিকে ছাদের উপর রেখে দেন। শকুনের দল ঝাঁকে ঝাঁকে এসে সেই মৃতদেহ খেয়ে ফেলে। সুতরাং পুরো ব্যাপারটাই গা ছমছমে। শোনা যায়, টাওয়ার অফ সাইলেন্সে নাকি আত্মারা ঘুরে বেড়ায়। শোনা যায়, এই টাওয়ার অফ সাইলেন্সে অনেকেই নাকি ভূত দেখেছেন!
শনিবার ওয়াড়া, পুণে
জায়গার নাম শুনে নিশ্চয়ই বাজিরাও মস্তানির কথা মনে পড়ে গিয়েছে। কিন্তু বিশ্বাস করুন পুণের এই জায়গায় ঢুকলে মোটেই দীপিকা পাড়ুকোনের দেখা পাবেন না। উলটে দেখা মিলতে পারে ভূতের। ব্যাপারটা একটু খোলসা করে বলা যাক। লোকমুখে শোনা যায়, প্রায় তিনশো বছরের প্রাচীন এই কেল্লায় আজও ঘুরে বেড়ায় এক তরুণ পেশোয়ারের আত্মা। শুধু তাই নয়, পূর্ণিমার রাতে নাকি শোনা যায় বাচ্চার আর্তনাদ। লোককথা অনুয়ায়ী, অতীতে নাকি শনিবার ওয়াড়াতে এক যুবরাজকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তাঁর আত্মাই নাকি এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছে এখানে। শোনা যায়, ঘুঙুরের আওয়াজও।