স্টাফ রিপোর্টার: পুজোর (Durga Puja) ছুটিতে পর্যটকদের জন্য খুশির খবর। মাত্র দু’ঘণ্টায় হাওড়া থেকে ঝাড়গ্রাম পৌঁছনো যাবে এবার। ঝাড়গ্রাম (Jhargram)স্টেশনে নতুন স্টপেজ দেওয়া হল হাওড়া-বারবিল জনশতাব্দী এক্সপ্রেসকে। আপ ও ডাউন দু’টি ট্রেনই এবার দাঁড়াবে ঝাড়গ্রাম স্টেশনে। বুধবার তার সূচনা হয়ে গেল।
ওইদিন সকাল ৬.২০ মিনিটে হাওড়া (Howrah) স্টেশন থেকে ছাড়ে হাওড়া-বারবিল জনশতাব্দী এক্সপ্রেস। এরপর ৮.২৪ মিনিটে ঝাড়গ্রাম স্টেশনে পৌঁছয়। সেখানে জনশতাব্দী এক্সপ্রেসকে স্বাগত জানান ঝাড়গ্রামের সাংসদ কুনার হেমব্রম, দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়গপুর ডিভিশনের ডিআরএম আর কে চৌধুরী, সিনিয়র কমার্শিয়াল ম্যানেজার ওম প্রকাশ-সহ রেলের আধিকারিকরা। এরপর থেকে হাওড়া-বারবিল জনশতাব্দী এক্সপ্রেস ঝাড়গ্রাম স্টেশনে দাঁড়াবে। ফলে মাত্র ২ ঘণ্টাতেই পৌঁছে যাওয়া যাবে জঙ্গলমহলের শহর ঝাড়গ্রামে। এমনকী একদিনের টুরেও (Tour)সকাল সকাল ঝাড়গ্রাম পৌঁছে সারাদিন ঘুরে রাতের মধ্যেও ফেরা যাবে।
[আরও পড়ুন: যাত্রাপথে সেলফি ভারতের সৌরযান আদিত্যর, ক্যামেরাবন্দি পৃথিবী ও চাঁদের ছবিও]
এছাড়া আরও কয়েকটি ট্রেনকেও বাড়তি স্টপেজ (Stopage) দেওয়া হয়েছে। হাওড়া-পুরুলিয়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস থামবে ঝাঁটিপাহাড়ি স্টেশনে। শিয়ালদহ-বামনহাট উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেসের স্টপেজ দেওয়া হচ্ছে মালদহের কুমেদপুরে। উত্তর দিনাজপুর জেলায় ডালখোলায় তিস্তা-তোর্সা এক্সপ্রেসের স্টপেজ দেওয়া হচ্ছে। হাওড়া থেকে হাতিয়া ক্রিয়াযোগ এক্সপ্রেস ট্রেনের স্টপেজ দেওয়া হবে পুরুলিয়া জেলার সুসিয়া স্টেশনে। কলকাতা থেকে গোরক্ষপুর পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসের স্টপেজ দেওয়া হচ্ছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার পানাগড় স্টেশনে। দুমকা-রাঁচি এক্সপ্রেসের স্টপেজ দেওয়া হবে পুরুলিয়া জেলার পুন্ডাগ স্টেশনে। এই বাড়তি স্টপেজ দেওয়ায় অনেক জায়গাতেই যাওয়ার ক্ষেত্রে সুবিধা পাবেন পর্যটকরা।