সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শরীরের বাসনায় ডুব দিলেই কেল্লাফতে হবে, এমন ভাবা ভুল। বিশেষ করে নারী শরীরের ক্ষেত্রে। সঙ্গিনীর কামনার আগুন দাউদাউ করে জ্বালাতে চাই উসকানির স্ফুলিঙ্গ। তবেই তো হবে চরম সুখের অনুভূতি। সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়বে তৃপ্তির শিহরণ। এমন কয়েকটি পজিশন রয়েছে যাতে মহিলাদের যৌনসুখ তীব্র থেকে তীব্রতর হয়।
এক্ষেত্রেই প্রথমে ‘কাউগার্ল’ পজিশনের কথা বলা যায়। একে আবার অনেকে ‘অন দ্য টপ’ও বলে থাকেন। অর্থাৎ নারী থাকবে উপরে আর পুরুষ তাঁর নিচে। এতে গতি ও ক্ষিপ্রতার উপর নিয়ন্ত্রণ থাকে। এই পজিশন ট্রাই করার সময় যোনির উপরের ছোট্ট অংশটি অর্থাৎ ক্লিটোরিসে হালকা ম্যাসাজ দিতে পারেন, এতে চরম সুখের অনুভূতি ত্বরান্বিত হবে।
CAT পজিশন। না না, এ ঝুলি থেকে বেরিয়ে আসা বিড়ালের মতো নয়। এটি আদতে কোইটাল-অ্যালাইনমেন্ট টেকনিক। মিশনারি পজিশনেরই এক ধরন। এক্ষেত্রে মহিলারা নিচে থাকেন, আর পুরুষ থাকেন তাঁর শরীরের উপরে। খালি মহিলার কোমরের নিচে একটি বালিশ নিয়ে নিতে হবে। এতে দুজনেরই মুভমেন্ট বেশি সহজ হবে। সঙ্গীর যৌনাঙ্গ আপনার ক্লিটোরিসের বেশি কাছে পৌঁছতে পারবে।
[আরও পড়ুন: AI ম্যাজিক! ‘পদাতিক’ সিনেমায় সত্যজিৎ রায়ের কণ্ঠ, পরিচালক সৃজিতের বড় চমক]
স্পুনিং পজিশনকে মহিলাদের অর্গ্যাজমের ক্ষেত্রে অন্যতম সেরা পজিশন বলে মনে করা হয়। এতে মহিলাদের একটু সাইড হয়ে চামচের মতো বেঁকে শুতে হবে। সঙ্গীর পজিশন এমন হতে হবে যাতে তিনি একদিকে যেমন পেনিট্রেট করতে পারেন, অন্যদিকে এক হাত দিয়ে ক্লিটোরিস ছুঁতে পারেন।
ইভারটেড হুইলব্যারো অর্থাৎ উলটানো ঠেলাগাড়ির মতো যৌনক্রিয়া। এই পদ্ধতিকে মহিলা পার্টনারকে পিঠের দিকটা উপরে দিয়ে শুয়ে পড়তে হবে। পুরুষ সঙ্গীকে তাঁর পা দুটি তুলে নিয়ে পেনিট্রেশনের মতো পজিশন করে নিতে হবে।
এছাড়া রয়েছে ডগি স্টাইল। এই পজিশনের কথা কমবেশি অনেকেই জানেন। তবে যেই পজিশনই ট্রাই করুন না কেন, একটি বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন। মহিলাদের অর্গ্যাজমের ক্ষেত্রে ক্লিটোরিস বা ভগাঙ্কুরের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বলা হয়, এতেই লুকিয়ে সেই চরম সুখ অর্থাৎ অর্গ্যাজমের চাবিকাঠি।