সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এই যুগ নাকি এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার! বিশেষত আজকের প্রজন্মের প্রতিনিধিরা সামান্য বৈজ্ঞানিক জ্ঞান হওয়ামাত্র কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মায়াজালে জড়িয়ে পড়ছে। যেমন নিজেদের পড়াশোনায় এআই প্রয়োগ করে, তেমনই এর সাহায্য অতি অল্প সময়ের মধ্যেই তারা জেনে ফেলতে পারে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের নতুন নতুন সব তথ্য। এআই যেন জ্ঞানের ভাণ্ডার! আর তার সদ্ব্যবহার করে একেবারে চমকপ্রদ প্রস্তাব পেল আমেরিকার এক স্কুলছাত্র। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্য নিয়ে মহাশূন্যে অদৃশ্য অন্তত ১৫ লক্ষ মহাজাগতিক বস্তুর হদিশ দিয়েছে সে! তার এই আবিষ্কারে মুগ্ধ নাসা তাকে চাকরির প্রস্তাব দিল।
কিশোর আবিষ্কর্তার নাম ম্যাট পাজ। আমেরিকার পাসাডেনা সেকেন্ডারি স্কুলের ছাত্র। স্কুলজীবন শেষ। হওয়ার আগেই নাসার লোভনীয় চাকরির অফার পেয়েছে সে। নাসার ডিরেক্টর জেরাড আইজ্যাকম্যান তাকে সরাসরি বলেছেন, ''ম্যাট, তুমি নাসায় চাকরির আবেদন জানাও। আমাদের প্রস্তাবে সই করলে আমি নিজে একটা বিমান পাঠাব তোমার জন্য। তাতে চড়ে আসবে তুমি।''
আমেরিকার সেকেন্ডারি স্কুলের ছাত্র ম্যাট পাজ।
এই প্রস্তাব পেয়ে হতভম্ব হয়ে গিয়েছিল ম্যাট। কিন্তু মেধাবী ম্যাট সেই অফার গ্রহণ করতে দেরি করেনি মোটেও। আপাতত সে জ্যোতির্বিজ্ঞানী ডেভি কার্কপ্যাট্রিকের সঙ্গে কাজ করবে। ম্যাটের আবিষ্কৃত জ্যোতিষ্কদের নিয়ে আরও ভালোভাবে পড়াশোনা করতে নাসা একটি প্রকল্প শুরু করতে চায়। তা হবে বিজ্ঞানী কার্কপ্যাট্রিকের নেতৃত্বে।
কিন্তু কী এমন করেছে মার্কিন স্কুলছাত্র? আপাতভাবে তার কাজটি ততটা গুরুত্বপূর্ণ মনে না হলেও মহাবিশ্বের রহস্য উন্মোচনে বড় দিগন্ত খুলে দিতে পারে এআই-এর সাহায্যে ম্যাটের চোখে ধরা পড়া মহাকাশের অদৃশ্য বস্তুগুলি। অন্তত ১৫ লক্ষ এমন মহাজাগতিক বস্তু ছড়িয়েছিটিয়ে রয়েছে, যার অস্তিত্ব এতদিন কোনও গবেষণাতেই ধরা পড়েনি, বোঝাও যায়নি। ম্যাট এআই দিয়ে সেসব দেখতে পেয়েছে। অন্তত ২০০ টি ইনফ্রারেড রেকর্ড রয়েছে তার সংগ্রহে। তার কাজ দেখে নাসা বলছে, মানুষের চোখে সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিষয় ধরা পড়ে না অনেক সময়। কিন্তু এআই নিখুঁত এবং গভীরভাবে সব ধরতে পারে। সেই পথই দেখিয়েছে ম্যাট। এ বড় আবিষ্কার বইকী! তাই এ বিষয়ে গবেষণা এগিয়ে নিয়ে যেতে ম্যাটকে সঙ্গী করেছে নাসা।
