সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছায়া সুনিবিড় শান্তির নীড় কে না চায়! একচিলতে হলেও মাথা গোঁজার ঠাঁই থাকলে জীবন হয়ে ওঠে নির্ভার। তেমনই স্বপ্ন দেখতে গিয়ে অনলাইনে লক্ষ লক্ষ টাকা খুইয়ে বসলেন পুণের (Pune) এক ইঞ্জিনিয়ার। এক প্রতারকের পাল্লায় পড়ে এমন অসহায় অবস্থা হল তাঁর। পুলিশে এফআইআর করা হলেও এখনও কেউ গ্রেপ্তার হননি।
কীভাবে প্রতারকের পাল্লায় পড়লেন তিনি? শ্যামলাল হাঁসদা নামের ওই ইঞ্জিনিয়ার এক সংবাদমাধ্যমে একটি ফ্ল্যাট ভাড়ার (Rental flat) বিজ্ঞাপন দেখেন। ফ্ল্যাটটি তাঁর পছন্দ হয়। সেটি তাঁর অফিসের কাছেও। সেখানে দেওয়া ফোন নম্বরে যোগাযোগ করলে তাঁকে আড়াই হাজার টাকা জমা দিতে বলা হয় একটি অ্যাকাউন্টে। কারণ হিসেবে বলা হয়, যে হাউসিং সোসাইটির মধ্যে ওই ফ্ল্যাট, সেখানে এসে ফ্ল্যাটটি দেখতে হলে ভিজিটিং পাস লাগবে। আর সেই বাবদই ওই খরচ। প্রতারিত ব্যক্তি টাকাটি পাঠিয়ে দেন।
[আরও পড়ুন: আদিবাসীকে চটি খুলে বেদম মার! বিতর্কের মুখে অভিযুক্ত নেতাকে বহিষ্কার বিজেপির]
আর এখান থেকেই শুরু হয় প্রতারণার এক নয়া ছক। তাঁকে বলা হয় টাকাটি অ্যাকাউন্টে ঢুকছে না। ‘প্রসেসে’ রয়েছে। তাই তিনি যেন আরও টাকা পাঠান। এভাবেই নানা অছিলায় তাঁকে ফাঁদে ফেলে টাকা পাঠাতে বলা হয়। কোনও রকম সন্দেহ না হওয়ায় তিনি পাঠাতেও থাকেন। এভাবেই ক্রমে তিনি ৩ লক্ষ ৬ হাজার ৫২৯ টাকা পাঠিয়ে ফেলেন।
পরে ওই নম্বরে যোগাযোগ করলে দেখা যায় সেটি বন্ধ। সন্দেহ ঘন হতেই পুলিশে যান। পরে অভিযোগ দায়ের করেন। তবে এর মধ্যে কেটে গিয়েছে মাস দুয়েক। এখন দেখার পুলিশ প্রতারককে খুঁজে বের করতে পারে কিনা।