সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৮ ঘণ্টার পথ এবার পেরনো যাবে মাত্র ২৫ মিনিটে। সোনপ্রয়াগ থেকে কেদারনাথের (Kedarnath) মধ্যে এবার তৈরি হবে রোপওয়ে (Ropeway)। তার ফলে রাতারাতি ওই দূরত্ব এসে যাবে হাতের মুঠোয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) স্বপ্নের প্রকল্পে সবুজ সংকেত দিয়েছে ‘ন্যাশনাল ওয়াইল্ড লাইফ বোর্ড’। কেবল তাই নয়, রাম্বাদা থেকে গরুরচট্টির মধ্যেও তৈরি হবে ট্রেক রুট। নিঃসন্দেহে এই খবরে অভিযাত্রী থেকে সাধারণ পর্যটক, সকলেরই মুখে হাসি ফুটবে।
উল্লেখ্য, সোনপ্রয়াগ থেকে কেদারনাথের মধ্যবর্তী দূরত্ব প্রায় ১৮ কিমি। পায়ে হেঁটে ওই দুর্গম পেরোতে লেগে যায় ৮ ঘণ্টা। অন্য কোনও উপায় নেই। কেননা, ওই রাস্তা গাড়ি চলাচলের উপযুক্ত নয়। অথচ প্রতি বছরই লাফিয়ে বাড়ছে তীর্থযাত্রীর সংখ্যা। সেদিকে তাকিয়ে থেকেই উত্তরাখণ্ড সরকার আগেই রোপওয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল রাজ্যের ‘ওয়াইল্ড লাইফ বোর্ড’কে। জুনে মিলেছিল সম্মতি। বিষয়টি এরপর ‘ন্যাশনাল ওয়াইল্ড লাইফ বোর্ড’-এর কাছে যায়। অবশেষে কেন্দ্রীয় বোর্ডের সম্মতি পেতেই আর কোনও বাধা রইল না। শিগগিরি ওই রোপওয়ে নির্মিত হবে বলে জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: প্রয়াত হ্যারি পটার-খ্যাত অভিনেতা রবি কোলট্র্যান, দর্শক হারাল প্রিয় শিক্ষক ‘হ্যাগরিড’কে]
জানা গিয়েছে, ১২ কিমির রোপওয়ে নির্মাণের খরচ পড়বে ১ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা। এর জন্য ২৬.৪৩ হেক্টর অরণ্যভূমি প্রয়োজন বলে জানা গিয়েছে। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সূত্র জানাচ্ছে, ওখানে মোট ২২টি টাওয়ার নির্মিত হবে। থাকবে চারটি স্টেশন- গৌরীকুণ্ড, চীরবাসা, লিঞ্চলি ও কেদারনাথ।
এর পাশাপাশি বোর্ড রাম্বাদা থেকে গরুরচটির মধ্যে ট্রেক রুট তৈরির প্রস্তাবেও সবুজ সংকেত দিয়েছে। পাশাপাশি গোবিন্দঘাট-হেমকুণ্ড সাহিব রোপওয়ে প্রকল্পের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে বোর্ডকে। যেহেতু পরিবেশ মন্ত্রক ওই প্রকল্পের অনুমতি দিয়েছে তাই অন্য অনুমতি পেতে অসুবিধা হবে না বলেই সরকারি সূত্রের দাবি। সব কিছু ঠিক থাকলে শিগগিরি ওই দুই রোপওয়ের সূত্রে ওই এলাকায় চলাচল আরও সুগম হবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।