স্টাফ রিপোর্টার: লাইন মেরামতির কাজ শেষ হয়েছে ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় আগে। তবুও স্বাভাবিক হয়নি দক্ষিণ-পূর্ব রেলের দূরপাল্লার ট্রেন চলাচল। আতঙ্ক তো রয়েছেই। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত ওই লাইনের ২১টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে।
বাতিল ট্রেনের মধ্যে রয়েছে – আপ ও ডাউন শালিমার-পুরী ধৌলি এক্সপ্রেস, আপ ও ডাউন হাওড়া-সেকেন্দ্রাবাদ ফলকনামা এক্সপ্রেস, শালিমার-চেন্নাই সেন্ট্রাল এক্সপ্রেস, হাওড়া-পুরী শতাব্দী এক্সপ্রেস, ভদ্রক-হাওড়া এক্সপ্রেস, ভুবনেশ্বর-হাওড়া জনশতাব্দী এক্সপ্রেস, আপ ও ডাউন খড়গপুর-খুরদা রোড এক্সপ্রেস, শিয়ালদহ-পুরী দুরন্ত এক্সপ্রেস-সহ একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন।
চারদিন বাদেও অসংখ্য ট্রেন বাতিল হওয়ায় দিনভর চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন যাত্রীরা। এদিকে ঘুরপথে বহু ট্রেন দক্ষিণ ভারতের দিকে যাওয়ায় তার রেকও যথাসময়ে আসবে না জেনে বুধবারও বহু ট্রেন বাতিল করেছে দক্ষিণ-পূর্ব রেল। আজও (বুধবার) ১২টি ট্রেন বাতিল থাকছে।
[আরও পড়ুন: মুম্বইয়ে ১৯ বছরের তরুণীকে ধর্ষণ করে খুন! অভিযুক্ত নিরাপত্তারক্ষীর মৃত্যুতে ঘনীভূত রহস্য]
কবে পাব ট্রেন? এটা জানতেই হাওড়া অনুসন্ধান অফিসে ভিড় ছিল দিনভর। মঙ্গলবার সকালে হাওড়ায় আসে ডাউন পুরী-হাওড়া এক্সপ্রেসটি। যাত্রা শেষেও আতঙ্কের ছাপ ছিল যাত্রীদের চোখে-মুখে। সকাল পৌনে ৮টা নাগাদ নির্বিঘ্নে হাওড়ায় পৌঁছে যাত্রীরা স্বস্তির নিশ্বাস ছাড়েন। জানিয়েছেন, বাহানাগার কাছে ট্রেন চলছিল ধীর গতিতে। করমণ্ডল-বিপর্যয়ের পর গোটা ট্রেন যাত্রাটাই ছিল আতঙ্কের যাত্রা। আজও পুরীর ট্রেন বাতিল। এদিকে পুরীর টিকিট কেটেও ট্রেন না থাকায় বহু পর্যটক বাসেই পুরী যাচ্ছেন।
কলকাতা থেকে দশ ঘণ্টায় এসি বাসে পুরী (Puri)। মঙ্গলবার অ্যাপের মাধ্যমে বাসে বুকিং করে সপরিবার পুরী পৌঁছান বিশ্বজিৎ বিশ্বাস। তিনি জানান, বহু আগে ট্রেনের টিকিট বুকিং ছিল। কিন্তু ট্রেন বাতিলে বাধ্য হয়ে বাসে পুরী আসা। এসি ভাড়া সাড়ে তেরোশো টাকা। রেল দুর্ঘটনায় স্বজন হারিয়ে চরম ক্ষতির মুখে বহু পরিবার পড়েছে। পাশাপাশি দুর্ঘটনার জেরে ট্রেন বাতিলেও হয়রানি বহু মানুষের। স্বাভাবিক হতে আরও বেশ কয়েকদিন লাগবে বলে মনে করছেন রেল কর্মীদের একাংশ।