সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: জৈষ্ঠ্যের ‘দারুণ অগ্নিবাণে’ প্রাণ ওষ্ঠাগত। শরীরকে ঠান্ডা রাখতে খাদ্যতালিকায় কত বদলই না করতে হচ্ছে। যোগ-বিয়োগের এই তালিকায় চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো নয়া সংযোজন তালশাঁস! আর এই গরমেই তা বাজারে চলেও এসেছে। বিক্রেতারা বলছেন, গ্রীষ্মের (Summer) সময় তালের শাঁস খুবই জনপ্রিয় খাবার। এটি খেতে খুবই সুস্বাদু। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ জল। যা অনেকটা ডাবের জলের (Coconut water) মতোই। এতে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন, ফাইবার এবং খনিজ উপাদান থাকে। নদিয়া জেলার বিভিন্ন জায়গায় সাতসকাল থেকেই তালশাঁস বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। তালশাঁসকে বলা হয়, তালের কচি আঁটির শাঁস। ইংরেজিতে একে বলা হয় ‘আইস আপেল’।
রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার সঙ্গে নদিয়া (Nadia) জেলার অন্যতম কৃষ্ণগঞ্জ এবং মাজদিয়ার বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার উপর তালশাঁস নিয়ে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। ১০ টাকাতে তিনটি তালশাঁস বিক্রি করছেন। দিনের শেষে এক থেকে দেড় হাজার টাকা রোজগার করে বাড়ি ফিরছেন তাঁরা। তবে জানেন কী গুণ রয়েছে এই তালশাঁসের। কী এই তালশাঁস? পুষ্টিবিদদের মতে, ডাবের জল এবং তালের শাঁসের গুণাগুণ একই রকমের। দুটিই খোলসের ভিতরে থাকে। ডাবের জলের পুরোটাই তরল, অন্যদিকে তালের শাঁসে কিছুটা শক্ত অংশ থাকে। গ্রীষ্মে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে তালের শাঁস (Tender Kernel)।
[আরও পড়ুন: ‘ইডিকে বলুন, মোদিকে নিশানা করে লাভ নেই’, রুজিরা ইস্যুতে অভিষেককে তোপ সিদ্ধার্থনাথের]
প্রচণ্ড গরমে তালের কচি শাঁস এবং এর ভিতরের মিষ্টি জল তৃষ্ণা মিটিয়ে শরীরে এনে দেয় আরামদায়ক অনুভূতি। এছাড়া এ সময় তাপমাত্রার কারণে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া, চুল পড়া ইত্যাদি রোধ করতে সাহায্য করে এটি। অতিরিক্ত ঘামের ফলে শরীর থেকে যে জল বেরিয়ে যায় তা পূরণ করতে সাহায্য করে তালের শাঁস। তালের শাঁসে থাকা জলীয় অংশ শরীরে জলশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে।
[আরও পড়ুন: মণিপুরে শহিদ বাংলার জওয়ান, পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারীর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ ভাটপাড়া]
তালশাঁসে রয়েছে ভিটামিন সি ও বি কমপ্লেক্স, যা শরীরের জন্য বিশেষভাবে উপকারী। এছাড়া ভিটামিন এ, যা দৃষ্টিশক্তিকে প্রখর করতে সাহায্য করে। প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করে। অনেক সময়ে অ্যাসিডিটির ফলে বমিভাব হয় এবং খাবার বিস্বাদ লাগে। কচি তালের শাঁস এই বমিভাব দূর করে নিমেষেই।