সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নম্বর একই রেখে সার্ভিস প্রোভাইডার বদলানোর সুযোগ সব সময়ই দিতে হবে গ্রাহকদের। সম্প্রতি এমনই নির্দেশ দিয়েছে ট্রাই (TRAI)। সম্প্রতি ভোডাফোন আইডিয়ার (Vodafone Idea) নতুন ট্যারিফগুলিকে কেন্দ্র করেই বিতর্ক ঘনিয়েছে। সেটি নিয়ে অভিযোগ করেছিল জিও (Jio)। এরপরই এই নির্দেশ জারি করে ট্রাই। জানিয়ে দেয়, প্রিপেড হোক বা পোস্টপেড কোনও গ্রাহক যদি নিজের সার্ভিস প্রোভাইডার বদলে অন্য সংস্থার পরিষেবা নিতে চান তাহলে তাঁকে সেই সুযোগ দিতে হবে।
ঠিক কী অভিযোগ করেছিল জিও? ট্রাইয়ের কাছে তাদের অভিযোগ ছিল, ভোডাফোনের নতুন প্রিপেড প্ল্যানগুলিতে এসএমএস পাঠানোর কোনও সুযোগ নেই। কিন্তু পোর্ট করতে গেলে প্রথমেই একটি এসএমএস করতে হয়। যে এসএমএসের চার থেকে পাঁচ দিন পরেই তা কার্যকর হয়। সেই কারণেই ভোডাফোনের নয়া ট্যারিফগুলি নিয়ে আপত্তি জিওর। তারা জানিয়েছে, এসএমএস পরিষেবা বন্ধ থাকার ফলে গ্রাহকরা তাদের সংস্থায় মোবাইল নম্বর পোর্ট করতে পারছেন না।
[আরও পড়ুন: ‘চিনের মতো হতে না চেয়ে নিজেদের শক্তির দিকে জোর দিক দেশ’, মন্তব্য রঘুরাম রাজনের]
জিওর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাই মনে করিয়ে দেয় ২০০৯ সালে তাদের নির্দেশে পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছিল প্রিপেড কিংবা পোস্টপেড, যে কোনও মোবাইল নম্বর পোর্ট করার ক্ষেত্রে রিকোয়েস্ট করার সুযোগ দিতেই হবে গ্রাহকদের। উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছিল মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটির।
গত মাসেই ভোডাফোন তাদের প্রিপেড ট্যারিফ ২৫ শতাংশ বাড়িয়েছে। ২৮ দিনের এন্ট্রি লেভেল প্ল্যান ৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৯ টাকা করা হয়েছিল। এই প্ল্যানে কোনও এসএমএস করার সুযোগ ছিল না। প্রসঙ্গত, ভোডাফোনের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে ১৭৯ টাকা কিংবা তার বেশি প্ল্যানগুলিতে এসএমএসের সুযোগ থাকলেও কমদামি প্ল্যানগুলিতে এসএমএস করার সুযোগই নেই। আর সেখান থেকেই ঘনিয়েছে বিতর্ক। এদিকে নভেম্বরে কেবল ভোডাফোনই নয়, খরচ বেড়েছে এয়ারটেল ও জিও নেটওয়ার্কের পরিষেবাতেও।