রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: সুদূর উত্তরে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার (Royal Bengal Tiger)আতঙ্ক। পরপর কয়েকদিন বক্সা ব্যঘ্র প্রকল্পের কোর এরিয়ায় পাতা ক্যামেরায় বাংলার বাঘের অস্তিত্ব ধরা পড়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। যার জেরে টানা ৫ দিন বন্ধ ছিল বক্সায় (Buxa) জঙ্গল সাফারি। তবে বাঘ-আতঙ্ক আপাতত অতীত। শুক্রবার থেকেই বক্সায় জঙ্গল সাফারি চালু হয়ে যাচ্ছে। জঙ্গলপ্রেমীদের সুখবর শুনিয়ে এই ঘোষণা করল ব্যঘ্র প্রকল্পের কর্তৃপক্ষ। তাতেই খুশি পর্যটকরা। শীতের মরশুম মানেই তো ভ্রমণের আদর্শ সময়। তাই উত্তরবঙ্গে গিয়ে বক্সায় জঙ্গল সাফারি না হলে পর্যটন যেন খানিকটা অসম্পূর্ণ থেকে যায়।
গত শনিবার, ২৩ বছর পর বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে দেখা মিলেছে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের। জঙ্গলে পাতা ট্র্যাপ ক্যামেরায় (Camera) তার সম্পূর্ণ ছবি ধরা পড়েছিল। উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠেছিলেন বন্যপ্রাণপ্রেমীরা।
যদিও স্থানীয় বনবসতিগুলিতে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল খানিকটা। তাদের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থাও নিয়েছে রাজ্য সরকার। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে গত রবিবার থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল জঙ্গল সাফারি (Jungle Safari)। বাঘ এবং পর্যটকদের সুরক্ষার স্বার্থে আপাতত বক্সায় আগামী কয়েকদিন বক্সায় জঙ্গল সাফারি বন্ধ রাখা হবে বলে ঘোষণা করেছিলেন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mullick)।
[আরও পড়ুন: শীতকালে পাহাড় ঘুরতে যাচ্ছেন? এই বিষয়গুলি একেবারেই ভুলবেন না]
আসলে, এলাকায় বাঘের সন্ধান পেয়ে অতি উৎসাহী মানুষজন সেখানে ভিড় জমাতে পারেন, তাতে স্বাভাবিক পরিবেশের ক্ষতি হতে পারে – এসব আশঙ্কা ছিল বনদপ্তরের। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের বাইরে যাতে বাঘ চলে যেতে না পারে, সে ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। এছাড়াও বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে বর্তমানে ক’টি বাঘ রয়েছে, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেই জানান বনমন্ত্রী। এসব কারণে পাঁচদিন বন্ধ ছিল সাফারি। কিন্তু এরপর শুক্রবার থেকে চালু করে দিতে সম্মত হয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। ফলে পর্যটকদের খুশির অন্ত নেই।