সুকুমার সরকার, ঢাকা: আনন্দ বদলে গেল মর্মান্তিক শোকে। বাংলাদেশে (Bangladesh) বরযাত্রীদের উপরে বাজ (Lightning) পড়ে মারা গেলেন ১৭ জন। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন বরও। তবে কনে তাঁদের সঙ্গে না থাকায় তিনি বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ ইউনিয়নে পদ্মা নদীর পাড়ে ঘাটের ধারেই একটি ঘরে আশ্রয় নিয়েছিলেন তাঁরা। সেই সময় ওই ঘরের উপরেই বাজ পড়ে। মুহূর্তে মৃত্যু হয় অসংখ্য মানুষের।
জানা গিয়েছে, সুন্দরপুর ইউনিয়ন থেকে পদ্মা নদী পার হয়ে পাকা ইউনিয়নের দিকে যাচ্ছিলেন ওই বরযাত্রীরা। প্রবল দুর্যোগের মধ্যে দক্ষিণ চরপাতা এলাকায় শিবগঞ্জের কাছে তেলিখারি ঘাটে পৌঁছনোর পর বৃষ্টির বেগ আরও বাড়ে। তখনই তাঁরা পাশেই ঘাটের কাছে একটি ঘরে আশ্রয় নেন। এরপরই সেই ঘরের উপরে বজ্রপাত হয়। নৌকায় ২৫ জন বরযাত্রী ও ১০ জন গ্রামবাসী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরে Rohingya সন্ত্রাসবাদীদের হামলা, আতঙ্ক ছড়াল কক্সবাজারে]
এবারের বর্ষায় বিপর্যস্ত বাংলাদেশ। টানা এক সপ্তাহের বৃষ্টির ধাক্কায় কক্সবাজার এলাকায় ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৬ জন রোহিঙ্গা শরণার্থী। এছাড়া বজ্রপাতের ফলে মৃত্যুর ঘটনাও বেড়েছে গত কয়েক বছরে। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল এবং উত্তর পশ্চিমাঞ্চল বজ্রপাত-প্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। বজ্রপাতের ক্ষয়ক্ষতি ঠেকানোর লক্ষ্যে সেদেশের ৮টি স্থানে পরীক্ষামূলক ভাবে বজ্রপাত চিহ্নিতকরণ যন্ত্র বা লাইটনিং ডিটেকটিভ সেন্সর বসানো হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে তা বসানো হয়েছে।
ঢাকা ছাড়াও সিলেট, ময়মনসিংহ, নওগাঁ, পঞ্চগড়, খুলনা, পটুয়াখালি এবং চট্টগ্রামে এই সেন্সর বসানো হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রচুর পরিমাণে গাছ কেটে নেওয়ার ফলেই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবেই বজ্রপাতের সংখ্যা বেড়েছে। আপাতত তাই বজ্রপাত কমাতে ব্যাপক হারে তালগাছ লাগানো হচ্ছে।