অর্ণব আইচ: আন্তর্জাতিক পশুপাচার চক্রের পর্দাফাঁস। উদ্ধার হয়েছে ১ টি সিংহ শাবক, তিনটি বানর। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিন পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করল বনদপ্তরের আধিকারিকরা। উদ্ধার হওয়া পশুগুলিকে আপাতত আলিপুর চিড়িয়াখানার হাসপাতালে রাখা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের খোঁজ শুরু হয়েছে।
[আর ওপড়ুন: কান টানতেই এল মাথা, সিবিআই অফিসে পৌঁছাল ট্রাঙ্ক ভরতি সারদার নথি]
বেশ কিছুদিন ধরেই ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরো ও ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল সেল-এর কাছে খবর আসছিল যে একটি পাচারকারী দল পশুশাবক নিয়ে বাংলাদেশ থেকে বনগাঁ সীমান্ত হয়ে ভারতে প্রবেশ করছে। অভিযুক্তদের ধরার জন্য অপেক্ষায় ছিল বনদপ্তরের আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, শুক্রবার রাতে বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে পশুশাবক নিয়ে ভারতে প্রবেশ করে পাচারকারীদের একটি দল। সীমান্ত থেকেই তাঁদের পিছু নেয় বনদপ্তরের গোয়েন্দারা। শনিবার ভোরে বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়েতে পৌঁছায় পাচারকারী দলটি। সেখান থেকেই অন্য একটি দলের হাতে পশুগুলিকে তুলে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা আর হল না। হাতবদলের মুহূর্তেই বনদপ্তরের আধিকারিকদের হাতে ধরা পড়ে যায় পাচারকারীরা। তাঁদের কাছ থেকে মিলেছে ১ টি সিংহ শাবক, ৩ টি বিরল প্রজাতির বানর। ইতিমধ্যেই তিন পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া পশু শাবকগুলিকে আপাতত আলিপুর চিড়িয়াখানায় রাখা হয়েছে। সেখানেই তাঁদের পরিচর্যা চলছে।
[আরও পড়ুন: যাদবপুর চত্বরে বাড়ছে জন্ডিস আক্রান্তের সংখ্যা, মোকাবিলায় প্রস্তুত পুরসভা]
জানা গিয়েছে, ধৃত ওয়াসিম রহমান, ওয়াজিদ আলি ও গুলাম গউস হাওড়ার বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরেই এই পাচার চক্রের জড়িত তারা। সূত্রের খবর, মূলত থাইল্যান্ড, মায়ানমার থেকে শাবকগুলিকে বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়া হত। সেখান থেকে পাঠানো হত ভারতে। এরপর সড়কপথে একাধিক দলের মাধ্যমে তাদের ঠাঁই হত মুম্বাইয়ে। সেখান থেকে জলপথে পাঠানো হত মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলিতে। জানা গিয়েছে, পাচারের আগে মাদকও খাওয়ানো হত পশুগুলিকে। পাচারের সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের খোঁজে তদন্ত শুরু হয়েছে।
The post বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ে থেকে উদ্ধার সিংহ শাবক, ছড়াল চাঞ্চল্য appeared first on Sangbad Pratidin.