shono
Advertisement

শরীরে পেঁচিয়ে হাই ভোল্টের তার, তারপর কী হল?

বিদ্যুৎ মানব নামে পরিচিত নরেশ কুমার।
Posted: 05:50 PM Aug 11, 2017Updated: 03:30 PM Oct 05, 2019

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেউ নেশার চোটে সাপের ছোবল খান। কারও নেশা মাথায় চড়লে মাকড়সার রস পান করতে হয়। উত্তরপ্রদেশের মুজফফরনগরের নরেশ কুমার অবশ্য এসব থেকে অনেক দূরে। তাঁর সখ বিদ্যুৎ খাওয়া। আক্ষরিক অর্থেই তিনি বিদ্যুৎ ‘খান’। ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের তার দিব্যি শরীরে পেঁচিয়ে রাখেন। একটুও শক খান না। নরেশের ঘরে কোনও সুইচ বোর্ড নেই। ওয়ারিংয়েরও প্রয়োজন হয় না। খালি হাতে তিনি সমস্ত বিদ্যুতের কাজ সারেন। বিদ্যুৎ মানব বলে তাঁকে ডাকতে ভালবাসেন প্রতিবেশীরা।

Advertisement

[‘দিব্যাঙ্গ’দের সঙ্গে নিয়ে জাতীয় সংগীত পরিবেশন অমিতাভের]

বাড়িতে থাকা ২৪০ ভোল্টের তারের কোনও গণ্ডগোল থাকলে ফল মারাত্মক হয়। শর্ট সার্কিটের জন্য বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে যেতে পারে। ২৪০ ভোল্টেই যদি এই হাল হয় ১১, ৩৩ বা ৬৬ হাজার ভোল্টের স্পর্শে এলে মানুষের অবস্থা কী হতে পারে তা অনুমেয়। অক্কা যাওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না। তবে উত্তর প্রদেশের নরেশ কুমারের কাছে বিদ্যুৎ যেন ভিজে কাঠি। তিনি দিব্যি খালি হাতে হাইভোল্টেজের তারে কাজ করেন। এমনকী হিটার বা অন্য কোনও বৈদ্যুতিন সরঞ্জামে কাজের সময় কোনও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেন না। তাঁর শরীরে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হলেও এতটুকু বিপদে পড়েন না। নরেশের টেস্টার ধরলে সিগন্যাল মেলে। উত্তর ভারতের মানুষটির এই পাগলামো দেখে প্রতিবেশীর তাঁকে বিদ্যুৎ মানব বলে ডাকেন।

[ফের মারণ ‘ব্লু হোয়েল’-এর খপ্পরে কিশোর, পুলিশি তৎপরতায় রক্ষা]

বিদ্যুৎ নিয়ে এভাবে ছেলেখেলা করার অভ্যাস নরেশের বেশিদিনের নয়। বছর চারেক আগে তিনি কাজ করতে গিয়ে এমন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছিলেন। এক বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে শর্ট সার্কিটের মুখে তিনি পড়েছিলেন। বন্ধুদের পরিবারের কেউ কেউ সমস্যায় পড়লেও হেলদোল ছিল না নরেশের। তখন থেকে ৪২ বছরের মানুষটি উপলব্ধি করেনি বিদ্যুৎ তাঁকে ছুঁতে পারবে না। সেই বিশ্বাসে এরপর থেকে বিদ্যুতের তার নিয়ে এভাবে কারসাজি চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। উত্তরপ্রদেশের এক হাসপাতালে ময়নাতদন্তের কাজ করেন নরেশ। বাড়িতে রয়েছে স্ত্রী, পুত্র। পরিবারের সদস্যরা পর্যন্ত নরেশের কাণ্ডে হতবাক। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন নরেশের শরীরে সম্ভবত ঘর্মগ্রন্থি কম রয়েছে। যার ফলে তাঁর শরীরে বিদ্যুৎ পরিবহণ হলেও তড়িদাহত হন না।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement