সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লিভার প্রতিস্থাপনে বেনিয়ম। কাঠগড়ায় অ্যাপোলো। শহরের অন্যতম নামী এই বেসরকারি হাসপাতালকে শোকজ করেছে রিজিওনাল অরগ্যান ট্রান্সপ্ল্যান্ট অর্গানাইজেশন বা রোটো। তিনদিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
[কলকাতার সব কলেজে চালু হচ্ছে অভিন্ন স্নাতকোত্তর পরীক্ষা]
ঘটনাটি ঠিক কী? গত আগস্ট মাসে মল্লিকা মজুমদার নামে এক তরুণীর ব্রেন ডেথ হয় এসএসকেএমে। অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জন্য তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় অ্যাপোলো হাসপাতালে। মল্লিকার লিভার অন্য এক রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করেন অ্যাপোলোর চিকিৎসকরা। ঘটনার পর প্রায় তিনমাস কেটে গিয়েছে। শুক্রবার এসএসকেএম হাসপাতালে বৈঠকে বসেছিলেন রিজিওনাল অরগ্যান ট্রান্সপ্ল্যান্ট অর্গানাইজেশন বা রোটোর আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, বৈঠকে ডেকে পাঠানো হয় অ্যাপোলোর সিইও রানা দাশগুপ্তকেও। মল্লিকা মজুমদারের লিভার প্রতিস্থাপন নিয়ে তাঁর কাছে জবাব তলব করা হয়। কিন্তু, তিনি যা বলেছেন, তাতে সন্তুষ্ট নন রোটার আধিকারিকরা। আর তাই অ্যাপোলো হাসপাতালকে শোকজ করা হয়েছে। তিনদিনের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে হবে।
এ রাজ্যে অঙ্গ প্রতিস্থাপন বিষয়টি দেখভাল করে রিজিওনাল অরগ্যান ট্রান্সপ্ল্যান্ট অর্গানাইজেশন বা রোটা। সরকারি হোক কিংবা বেসরকারি, শহরের কোনও হাসপাতালে যখন অঙ্গ প্রতিস্থাপন হয়, তখন অঙ্গদাতা ও গ্রহীতার নাম রোটা-কে জানাতে হয়। কিন্তু, মল্লিকা মজুমদারের অঙ্গ প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে গ্রহীতার সঠিক পরিচয় অ্যাপোলো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়নি বলে অভিযোগ। রোটার বক্তব্য, তাদের কাছে যে রোগীর নাম জমা দেওয়া হয়েছিল, তিনি লিভার পাননি। মল্লিকার লিভার ভিন রাজ্যের রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করেছেন অ্যাপোলোর চিকিৎসকরা। কেন এমনটা হল? তা জানতে চেয়েই শহরের নামী বেসরকারি হাসপাতালটিকে শোকজ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, কলকাতার হাসপাতালে অঙ্গ প্রতিস্থাপন হয়েছে। যিনি অঙ্গ দিয়েছেন, তিনিও এ রাজ্যের বাসিন্দা। সেক্ষেত্রে এ রাজ্যের রোগীরই অগ্রাধিকার পাওয়ার কথা। কিন্তু, তা না করে কেন ভিন রাজ্যের বাসিন্দার শরীরের লিভার প্রতিস্থাপন করা হল? তাও জানতে চেয়েছে রোটা। যদিও শোকজের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন অ্যাপোলোর সিইও রানা দাশগুপ্ত।
[ উত্তুরে হাওয়ায় গতি, এক ধাপে ৪ ডিগ্রি পারদ নেমে শীতের ছোঁয়া শহরে]
The post লিভার প্রতিস্থাপনে বেনিয়ম, শহরের হাসপাতালকে শোকজ appeared first on Sangbad Pratidin.