সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্যুট-বুটের সরকার। প্রধানমন্ত্রী কাজ করেন শুধু কয়েকজন শিল্পপতি বন্ধুর জন্য। প্রতিনিয়ত অভিযোগ করেন বিরোধীরা। দেশের কৃষক থেকে মধ্যবিত্ত যখন সামান্য কিছু ঋণের জন্য আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন, সেখানে শিল্পপতিদের কোটি কোটি টাকার ঋণ মকুব হচ্ছে, বহুবার বলতে শোনা গিয়েছে রাহুল গান্ধীকে। বিরোধীদের সেই অভিযোগ কার্যত মেনে নিল কেন্দ্র।
সংসদে তথ্য দিয়ে কেন্দ্র জানাল, গত পাঁচ বছরে প্রায় ৯.৯ লক্ষ কোটি টাকা অনাদায়ী ঋণ বাতিলের খাতায় ফেলা হয়েছে। অর্থাৎ ওই ঋণের টাকা আর উদ্ধার করা সম্ভব নয় বলে ধরে নিচ্ছে ব্যাঙ্কগুলি। বলা ভালো মকুব করে দেওয়া হল। চলতি সপ্তাহে সংসদে কেন্দ্র জানিয়েছে, গত পাঁচ অর্থবর্ষে রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্কগুলি ৯.৯০ লক্ষ কোটি টাকার ঋণ অবলোপন করেছে। তবে আশার কথা, গত বছর এই ঋণ মকুবের অঙ্কটা নিম্নমুখী।
[আরও পড়ুন: চিকিৎসক খুনে তুলকালাম আর জি কর, অধ্যক্ষের বিতাড়ন চাইছেন আন্দোলনকারীরা]
অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধরী জানিয়েছেন, ২০২৩-'২৪ অর্থবর্ষে ১.৭০ লক্ষ কোটি টাকার ঋণ মকুব হয়েছে। গত বছর এই মকুব ঋণের পরিমাণ ২.০৮ লক্ষ কোটি টাকার। অর্থাৎ এই ঋণ মকুবের হারটা নিম্নমুখী। ২০২৩-'২৪ অর্থবর্ষে এই ঋণ মকুবের হারটা মোট ঋণের ১৮.১৫ শতাংশ। যা আগের বছর অনেকটাই বেশি ছিল।
[আরও পড়ুন: ‘কেন এমনটা ঘটল?’, RG করের নিহত চিকিৎসককে ‘কন্যাসম’ বলে প্রশ্ন ফিরহাদের]
যদিও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি, এই ঋণগুলিকে অনাদায়ী ঋণ হিসাবে ব্যাঙ্কের হিসাব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ঠিকই, কিন্তু তাতেও ঋণগ্রহীতারা পুরোপুরি নিস্তার পেয়ে গেলেন তেমন নয়। ব্যাঙ্ক টাকা উদ্ধার করার চেষ্টা চালিয়েই যায়। গত পাঁচ বছরে যে ৯.৯ লক্ষ কোটি টাকার ঋণ অবলোপন করা হয়েছে, তার মধ্যে ১.৮৪ লক্ষ টাকাই ব্যাঙ্ক উদ্ধার করতে পেরেছে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক।