সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রেশন দুর্নীতি মামলায় ইডির স্ক্যানারে থাকা শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে নালিশের পাহাড়। গত ৫১ দিন ধরে ফেরার সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’। তারই মাঝে অভিযোগের আঙুল উঠতে শুরু করেছে শাহজাহানের ভাই সিরাজের দিকে। তাঁর বিরুদ্ধেও উঠেছে জমি দখলের অভিযোগ। স্থানীয়দের দাবি, সিরাজও তৃণমূল নেতা। যদিও মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক এবং সুজিত বসু জানান, তৃণমূলের কোনও পদেই নেই শাহজাহানের ভাই।
স্থানীয়দের দাবি, রকেটের গতিতে উত্থান হয়েছে শেখ সিরাজউদ্দিনের। এলাকায় ‘সিরাজ ডাক্তার’ বলেই পরিচিত তিনি। যদিও ডাক্তারির কোনও ডিগ্রি নেই। হাতুড়ে চিকিৎসক ছিলেন সিরাজউদ্দিন। স্থানীয়রা তাঁর কাছে চিকিৎসাও করাতেন। তবে গত কয়েক বছর কার্যত ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গিয়েছিলেন তিনি। গ্রামবাসীদের সেভাবে চিকিৎসা করতেন না। স্থানীয়দের অভিযোগ, দাদা শাহজাহানের প্রভাব খাটিয়ে ক্ষমতাবান হয়ে ওঠেন ভাই সিরাজ। সন্দেশখালির বেড়মজুরের ঝুপখালিতে বিঘার পর বিঘা জমি দখল করতেন। ভেড়ি বানিয়ে সিরাজ তা বিক্রি করে দিতেন বলেও অভিযোগ। কারও কারও দোকানঘরও হাতিয়ে নিয়েছিলেন সিরাজউদ্দিন। পুলিশের অভিযোগ সংগ্রহের ক্যাম্পেও নাকি সিরাজের বিরুদ্ধে নালিশ জমা পড়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘ডার্ক ওয়েবে অবৈধ লীলা খেলা চালায় সুপারস্টাররা! কেন্দ্র পদক্ষেপ করুক’, কঙ্গনার নিশানায় কারা?]
স্থানীয়দের দাবি, তৃণমূলের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন সিরাজ। যদিও সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতো তা মেনে নেন। জানান, একসময় অঞ্চল সভাপতি পদে ছিলেন শেখ সিরাজউদ্দিন। তবে তাঁর দাবি, তা ‘অনেক আগে’। সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’ শেখ শাহজাহান কোনও অপরাধ করেননি বলেও দাবি বিধায়কের। তিনি বলেন, ‘‘শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে ক্ষোভের কথা কেউ বলেননি। শেখ শাহজাহান কোনও অপরাধ করেছেন, এটাও কেউ বলেননি। কেউ কেউ অন্যের মুখে শুনে কিছু কথা বলেছেন। কিন্তু দুর্নীতির কোনও কথা আসেনি।’’
শেখ সিরাজ যে তৃণমূলের কোনও পদেই নেই তা জানিয়েছেন মন্ত্রী পার্থ ভৌমিকও। তিনি বলেন, ‘‘অনেক আগেই সিরাজকে সরানো হয়েছে।’’ মন্ত্রীর দাবি, সিরাজের জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অজিত মাইতিকে। বলে রাখা ভালো, শুক্রবারই তাঁর বাড়িতে চড়াও হন গ্রামবাসীরা। তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে জমি দখলের অভিযোগ। যদিও সে অভিযোগ মানতে নারাজ শাসক শিবির। বিরোধীরাই সন্দেশখালিকে অশান্ত করছে বলেই দাবি করেন পার্থ ভৌমিক। তাঁর অভিযোগ, ‘‘অশান্তি করছে সিপিএম এবং বিজেপি। রাম-শ্যাম-যদু-মধু জমি জখল করে নিল আর ফেরত দেওয়ার দায়িত্ব মমতা সরকারের?’’ যদিও ইতিমধ্যেই কিছু সংখ্যক জমিহারাকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়েছে।