সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর আড়ালে-আবডালে নয়। এবার সম্ভবত সরাসরি হাত ধরাধরি করে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপি (BJP) এবং ওড়িশার শাসকদল বিজু জনতা দল। সূত্রের দাবি, নবীন পট্টনায়কের (Naveen Patnaik) দলকে জোটে টানতে আগ্রহী গেরুয়া শিবির। প্রাথমিক আলোচনা শুরু হয়েছে বিজেডির অন্দরেও।
আসলে এবারের লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha 2024) NDA জোটকে ৪০০ আসনের টার্গেট দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই টার্গেট পূরণ করতে হলে নতুন জোটসঙ্গী দরকার বিজেপির। বিজেডি এবং বিজেপি অনেকাংশে সমমনোভাবাপন্ন। সাম্প্রতিক অতীতে দেখা গিয়েছে, সরাসরি না হলেও পরোক্ষে বিজেপিকে মদত দিয়ে এসেছে বিজেডি। রাজ্যসভায় একাধিক বিল পাশে মোদির পাশে দাঁড়িয়েছেন পট্টনায়েক। এবার দুই শিবিরের সরাসরি জোট আলোচনা শুরু হয়েছে।
[আরও পড়ুন: বাংলার প্রত্যেক মা, বোন আমার পরিবার’, বারাসতের মঞ্চ থেকে দৃপ্ত ঘোষণা মোদির]
সূত্রের দাবি, বুধবার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের বাসভবনে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক হয়েছে বিজেডির শীর্ষ নেতৃত্বের। একই সঙ্গে দিল্লিতেও বিজেপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন বিজেডির এক নেতা। দুই বৈঠক শেষে বিজু জনতা দলের সহ সভাপতি দেবীপ্রসাদ মিশ্র জানিয়েছেন, “বিজেপির সঙ্গে জোট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হলেও, সেটা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা ওড়িশার স্বার্থ দেখব সবার আগে।” আসলে ২০৩৬ সালে ওড়িশার রাজ্যের মর্যাদা পাওয়ার ১০০ বছর পূর্ণ হবে। বিজেডি চাইছে যেনতেন প্রকারে ততদিন ক্ষমতায় থাকতে। অন্যদিকে, বিজেপি সাংসদ জুয়াল ওরামও জোট আলোচনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। কিন্তু, কোনওপক্ষই এখনও সরকারি সিলমোহর দেয়নি।
[আরও পড়ুন:খড়গপুর রেল কলোনির উচ্ছেদ রুখতে আন্দোলনের নির্দেশ মমতার]
আসলে জোটের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা হল আসনরফা। ওড়িশায় বিজেডির মূল প্রতিপক্ষই বিজেপি। গতবারও ২১ আসনের মধ্যে বিজেডি ১২টি এবং বিজেপি ৮টি আসন জিতেছিল। স্বাভাবিকভাবেই কে কোন আসনে লড়বে তা নিয়ে একটা বিতর্কের জায়গা এখনও রয়েছে। তবে সূত্রের দাবি, জোট হলে বেশিরভাগ লোকসভা আসনে লড়বে বিজেপি। আর অধিকাংশ বিধানসভা আসনে লড়বে বিজেডি। মজার কথা হল, বিজেপি আর বিজেডির মধ্য জোট হলে ওড়িশার রাজনীতিতে বিরোধী বলতে পড়ে থাকবে শুধু ‘প্রান্তিক শক্তি’ কংগ্রেস (Congress)। তবে বিজেপি এবং বিজেডির জোট প্রথম নয়। এর আগে ২০০৯ পর্যন্ত এই দুই শিবিরের জোট ছিল। সেসময় অবশ্য ওড়িশায় শক্তিশালী ছিল কংগ্রেস। তুলনায় দুর্বল ছিল বিজেপি।