ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে তোলাবাজি, ঘুষ! তথ্য তুলে বিজেপিকে তোপ কংগ্রেসের

02:28 PM Mar 15, 2024 |
Advertisement

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে বিরাট দুর্নীতি! বিজেপির বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে কাজে লাগিয়ে ‘হপ্তা উসুল’ অর্থাৎ ‘তোলাবাজি’র অভিযোগ তুলল কংগ্রেস। হাত শিবিরের দাবি, ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে কার্যত ‘ভারচুয়াল মাফিয়ারাজ’ চালিয়েছে বিজেপি। তোলাবাজি থেকে শুরু করে ঘুষ, হেন কোনও অভিযোগ নেই যা তুলছে না কংগ্রেস (Congress)।

Advertisement

হিসাবে বলছে, ইলেক্টোরাল বন্ড থেকে সবচেয়ে বেশি আয় হয়েছে বিজেপিরই (BJP)। বন্ড থেকে রাজনৈতিক দলগুলি মোট যা আয় করেছে তার প্রায় ৪৭ শতাংশ গিয়েছে বিজেপির দখলে। টাকার অঙ্কটা প্রায় ৬ হাজার ৬০ কোটি টাকা। কংগ্রেস নির্বাচনী বন্ডে পেয়েছে মাত্র ১ হাজার ৪২১ কোটি টাকা। যা বিজেপির চেয়ে কয়েকগুণ কম।

[আরও পড়ুন: আঘাত পাওয়ার পর প্রথমবার সোশাল মিডিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী, সুস্থতা কামনার জন্য ধন্যবাদ মোদি-রাহুলকে]

এই তথ্য প্রকাশের পর দলের প্রচার বিভাগের প্রধান জয়রাম রমেশ এক্স হ্যান্ডেলে বিস্তারিত পোস্ট করেছেন। তাঁর মূল অভিযোগ চারটি। এক সুবিধা পাইয়ে দেওয়া। জয়রাম রমেশের অভিযোগ, বিজেপিকে অনুদানের বদলে একাধিক সংস্থা সরকারি সুবিধা পেয়েছে। উদাহরণ হিসাবে বলা হয়েছে মেধা ইঞ্জিনিয়ারিং নামের সংস্থাটি বন্ডের মাধ্যমে ১৪০ কোটি অনুদানের পরই প্রায় ১৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকার সরকারি প্রকল্পের বরাত পেয়েছে। জয়রাম রমেশের দ্বিতীয় অভিযোগ, হপ্তা উসুলি বা তোলাবাজির। তিনি বলছেন, বিজেপির তোলাবাজির পদ্ধতিটা খুব সোজা। ইডি-সিবিআই দিয়ে হানা দাও, তার পর সেই সংস্থার থেকে টাকা তোলো। উদাহরণ হিসাবে কংগ্রেস বলছে, বন্ডে অনুদানকারী প্রথম ৩০ সংস্থার মধ্যে ১৪টিই ছিল ইডি-সিবিআইয়ের নজরে।

[আরও পড়ুন: ভুয়ো প্রেসক্রিপশন বানিয়ে জালিয়াতি, ২০ লক্ষ টাকা বান্ধবীর অ্যাকাউন্টে! প্রতিবাদ করায় খুন ব্যবসায়ী?]

কংগ্রেসের (Congress) তৃতীয় অভিযোগ ঘুষের। উদাহরণ হিসাবে একাধিক সংস্থার নাম তুলে ধরা হয়েছে যারা বিজেপিকে অনুদানের পরই বড় মাপের সরকারি প্রকল্পের বরাত পেয়েছে বলে অভিযোগ। কংগ্রেসের চতুর্থ অভিযোগ, শেল কোম্পানির মাধ্যমে তোলাবাজির। একাধিক উদাহরণ দিয়ে হাত শিবির দাবি করেছে, ভুয়ো, অস্তিত্বহীন কোম্পানির মাধ্যমে বহু অনুদান পেয়েছে বিজেপি। যদিও গেরুয়া শিবিরের দাবি, এই সব অভিযোগই ধারনার উপর ভিত্তি করে। এর কোনও ভিত্তি নেই।

Advertisement