বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: অনিচ্ছা সত্ত্বেও উত্তরপ্রদেশ থেকে লোকসভার লড়াইয়ে রাহুল গান্ধী। তবে, নিজের পুরনো কেন্দ্র আমেঠি থেকে নয়। রাহুল এবার প্রার্থী হলেন তুলনায় নিরাপদ রায়বরেলি (Rae Bareli) আসন থেকে। আমেঠিতে স্মৃতি ইরানির বিরুদ্ধে লড়বেন গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ কিশোরী লাল শর্মা।
আসলে কংগ্রেসের একসময়ের ‘দুর্গ’ এখন প্রহরীহীন। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে আমেঠিতে স্মৃতি ইরানির কাছে ৫৫ হাজার ভোটে হারেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। জল্পনা ছিল, এবার (Lok Sabha 2024) রাহুল ফিরতে পারেন আমেঠিতে। জল্পনা ছিল, ওয়ানড়ের ভোট মিটতেই আমেঠির প্রার্থী হিসাবে রাহুলের নাম ঘোষণা করা হবে। কিন্তু উনিশের হারের 'স্মৃতি' সম্ভবত এখনও তাড়া করছে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতিকে। সেকারণেই আমেঠি থেকে না দাঁড়িয়ে তিনি প্রার্থী হলেন মায়ের ছেড়ে আসা আসন রায়বরেলি থেকে।
[আরও পড়ুন: জীবনে কোনওদিন দ্বিতীয় হয়নি, মাধ্যমিকে কোন স্থানে হুগলির ‘বিস্ময় বালক’ তপজ্যোতি?]
রায়বরেলিই উত্তরপ্রদেশের একমাত্র আসন যেখানে ২০১৯-এ জিতেছিল হাত শিবির। সেখানে সোনিয়া গান্ধী জয়ী হলেও এবার বয়সের কারণে প্রার্থী হবেন না তিনি। তিনি চলে গিয়েছেন রাজ্যসভায়। দীর্ঘদিন ধরে জল্পনা, মায়ের ছেড়ে আসা আসনে প্রার্থী হতে পারেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। কিন্তু প্রিয়াঙ্কা এবার লোকসভার লড়াইয়ে নামতে রাজি হননি। তাঁর যুক্তি, সোনিয়া গান্ধী ইতিমধ্যেই রাজ্যসভায়। রাহুল গান্ধীর সঙ্গে তিনিও প্রার্থী হলে বা জিতে সংসদে গেলে কংগ্রেস থেকে গান্ধী পরিবারেরই তিনজন সাংসদ হয়ে যাবেন। ফলে বিজেপির পক্ষে পরিবারতন্ত্র নিয়ে আঙুল তোলা সহজ হয়ে যাবে। আবার উত্তরপ্রদেশের দুই পারিবারিক আসন থেকে কংগ্রেসের কেউ না লড়লে ভুল বার্তা যেত। দেশজুড়ে কর্মীরাও হতাশ হতেন। সেকারণেই শেষপর্যন্ত রায়বরেলিতে প্রার্থী হলেন রাহুল। ওই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী করেছে দীনেশ প্রতাপ সিং। আগেরবার সোনিয়ার বিরুদ্ধে লড়ে পরাজিত হন তিনি।
[আরও পড়ুন: সৌমেন্দেুর মনোনয়নে বাধার মুখে শিশির! কাঁথির ডিএম অফিসের সামনে উত্তেজনা]
অন্যদিকে আমেঠিতে স্মৃতি ইরানির বিরুদ্ধে কংগ্রেস প্রার্থী করেছে কিশোরী লাল শর্মাকে। এই কেএল শর্মা গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত। রাহুল সাংসদ থাকাকালীন তাঁর প্রতিনিধি হিসাবে কেএল শর্মাই আমেঠির কাজকর্ম দেখতেন। তবে স্মৃতি ইরানিকে তিনি কতটা টক্কর দিতে পারবেন, সেটা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন রয়েছে দলের অন্দরেই। তাছাড়া কোনও গান্ধী প্রার্থী না হওয়ায় হতাশ দলের কর্মীরাও।