সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপির আদর্শগত ভিত্তি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। দলে সেই সংঘের ভূমিকাকেই এবার একপ্রকার অস্বীকার করে গেলেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা। এক সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করলেন, "বিজেপি এখন যথেষ্ট সক্ষম। আরএসএসের সাহায্য ছাড়াও দল হিসাবে চলতে পারে।" বকলমে বিজেপি সভাপতি বুঝিয়ে দিলেন, দল হিসাবে চলার জন্য সংঘের আর বিশেষ প্রয়োজন তাঁদের নেই।
এক সাক্ষাৎকারে বিজেপি সভাপতি দাবি করেছেন, বাজপেয়ীর আমলে সত্যি বিজেপি আরএসএস নির্ভর ছিল। কিন্তু এখন দলীয় সংগঠনের শক্তি বেড়েছে। বিজেপি সভাপতির কথায়, "শুরুতে আমরা অক্ষম ছিলাম। হয়তো আকারে ছোট ছিলাম। আরএসএসের দরকার পড়ত। কিন্তু আজ আমরা অনেক বড়। অনেক সক্ষম। বিজেপি এখন নিজেদের চালাতে জানে। সেটাই আগের বিজেপির সঙ্গে আজকের বিজেপির পার্থক্য।" বস্তুত মোদি জমানায় বিজেপির কাছে সংঘের গুরুত্ব যে অনেকটাই কমেছে, সেটা নিজ মুখে স্বীকার করে নিলেন নাড্ডা।
[আরও পড়ুন: ঠাটিয়ে চড় কানহাইয়া কুমারকে, প্রচারে বেরিয়ে আক্রান্ত কংগ্রেস প্রার্থী]
বস্তুত আরএসএস বিজেপির চেয়ে অনেক পুরনো সংগঠন। রাজনীতির বাইরেও সংঘের বহু কর্মকাণ্ড আছে। রাজনৈতিক সংগঠন হিসাবে ১৯৮০-তে যাত্রা শুরু বিজেপির। স্বাভাবিকভাবেই বিজেপির আদর্শ হোক, কার্যপদ্ধতি হোক, সবটাই সংঘের থেকে ধার করা। এমনকী বাজপেয়ী, আডবাণী, যোশী থেকে শুরু করে মোদি, গড়করি, অমিত শাহদের মতো তাবড় বিজেপি নেতাদের আদর্শগত ভিত্তিও আরএসএস। বিজেপি এ পর্যন্ত যা যা রাজনৈতিক আন্দোলন করেছে, সেটাও সংঘ থেকে অনুপ্রাণিত।
[আরও পড়ুন: ক্যানসার আক্রান্ত সিপিএম কর্মীকে ‘মার’, পাটুলি থানা ঘেরাও সৃজনের]
নাড্ডা এ হেন সংঘের ভূমিকাকে খানিক খাটো করেই দেখলেন। বস্তুত মোদির আমলে বিজেপির অন্দরে সত্যিই সংঘের গুরুত্ব কমেছে বলে ওয়াকিবহাল মহলের মত। ২৪-এর নির্বাচনেও সংঘের অনেক কর্মীকে বিজেপির জন্য সেভাবে পরিশ্রম করতে দেখা যাচ্ছে না বলে শোনা যাচ্ছে। সেটাই নাড্ডা স্পষ্ট বলেছেন। অনেকে মনে করছেন, এটা খানিকটা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে খুশি করার চেষ্টা।