সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজনীতিতে অতীত বলে কিছু নেই। সবটাই বর্তমান। এর জলজ্যান্ত উদাহরণ গুলাম নবি আজাদ (Ghulam Nabi Azad)। কংগ্রেসের (Congress) সঙ্গে অর্ধ শতকের সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার সেই দলের নেতাকেই চরম কটাক্ষ করলেন। 'মোদির বন্ধু' আজাদ এদিন মন্তব্য করেন, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে লড়তে ভয় পাচ্ছেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। কংগ্রেস নেতার পাশাপাশি ন্যাশানাল কনফারেন্সের ওমর আবদুল্লাকেও 'দুধের শিশু' বলে কটাক্ষ করলেন তিনি।
জম্মু-কাশ্মীরের প্রবীণ নেতার দাবি, সংখ্যালঘু অধ্যুসিত এলাকায় ভোটে দাঁড়াতে চান রাহুল। ডেমোক্র্যাটিক প্রোগ্রেসিভ আজাদ পার্টির নেতা বলেন, 'কেন বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে ভোট লড়তে দ্বিধাগ্রস্ত রাহুল গান্ধী? তিনি বিজেপির সঙ্গে লড়ার কথা বলেন, যদিও কার্যক্ষেত্রে অন্য কাজ করছেন। কেন বিজেপি-শাসিত রাজ্য থেকে সরে এসে সংখ্যালঘু অধ্যুসিত এলাকায় আশ্রয় নিতে হচ্ছে?'
[আরও পড়ুন: প্রেম ভাঙায় আত্মঘাতী হলে দায়ী নয় সঙ্গী, পর্যবেক্ষণ দিল্লি হাই কোর্টের]
উল্লেখ্য, রাহুল ইতিমধ্যে কেরলের ওয়ানড় থেকে প্রার্থী হয়েছেন। কিন্তু এখনও আমেঠি কেন্দ্রে দাঁড়াবেন কি না তা নিয়ে জল্পনা রয়েছে। একসময়ের নিশ্চিত আসন এখন ঝুঁকিপূর্ণ। একসময়ের ‘দুর্গ’ এখন প্রহরীহীন। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে আমেঠিতে স্মৃতি ইরানির কাছে ৫৫ হাজার ভোটে হারেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। আমেঠিতে কি তিনি প্রার্থী হবেন? সম্প্রতি এই প্রশ্নের জবাবে রাহুল বলেন, “এটা বিজেপির প্রশ্ন। ভালো লাগছে শুরুতেই বিজেপির প্রশ্ন নিয়ে হাজির হয়েছেন। এ নিয়ে আমাকে (দলের তরফে) যা নির্দেশ দেওয়া হবে, সেটাই মেনে চলব।”
রাহুলের পাশাপাশি ওমর আবদুল্লাকেও এদিন রাজনীতির ময়দানে 'দুধের শিশু' বলে কটাক্ষ করেন আজাদ। যদিও প্রথমে ঘোষণা করে 'হারের ভয়ে' নিজেই নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন ভূস্বর্গের প্রবীণ নেতা। কাশ্মীরের অনন্তনাগ রাজৌরি আসন থেকে তাঁর নাম প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করেছিল ডেমোক্র্যাটিক আজাদ পার্টি। কিন্তু বুধবার অনন্তনাগের এক সভা থেকে আজাদ জানিয়ে দেন, আর ভোটে লড়বেন না।
[আরও পড়ুন: ‘এই নির্বাচন সাধারণ নয়, উন্নত জীবনযাত্রার নির্ণায়ক’, ভোটের আগে এনডিএ প্রার্থীদের চিঠি মোদির]
প্রসঙ্গত, কংগ্রেস ছেড়ে যাওয়া গুলাম নবি আজাদ (Ghulam Nabi Azad) এখন কাশ্মীরের রাজনীতির আঙিনায় জলহীন মাছের মতোই খাবি খাচ্ছেন। বছর দুয়েক আগেও আজাদ জাতীয় রাজনীতির প্রথম সারির মুখ ছিলেন। কাশ্মীরের রাজনীতিতেও এখন আজাদ নিঃসঙ্গ। কংগ্রেস ছেড়ে গিয়ে যে দল তিনি গড়েছিলেন সেই DPAP-ও এখন কার্যত অস্তিত্বের সংকটে ভুগছে।