সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্বাচনী জনসভার মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখার সময় নন্দীগ্রামের শহিদদের 'অপমান'। ভোটের মুখে বিতর্কে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। X হ্যান্ডেলে ওই বক্তব্য শেয়ার করে সমালোচনার সরব তৃণমূল। অবিলম্বে ক্ষমা চাইতে শুভেন্দুকে, দাবি শাসক শিবিরের।
রবিবার কাঁথিতে নির্বাচনী প্রচার ছিল শুভেন্দুর। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যুতে আক্রমণ শানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তা অবশ্য রোজকার বিষয়। তবে এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের মাটিতে দাঁড়িয়েই তাঁর বিরুদ্ধে উঠেছে নন্দীগ্রামের শহিদদের অপমানের মতো বিস্ফোরক অভিযোগ। তৃণমূলের অফিসিয়াল X হ্যান্ডেল থেকে পোস্ট করা একটি ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে শুভেন্দু বক্তব্য রাখছেন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে বলছেন, "নন্দীগ্রামের ৪১ জন মরেছে। ৩০০ মা ইজ্জত দিয়েছে। ১২০০ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে।" শহিদের বদলে 'মরেছে' শব্দ প্রয়োগ নিয়ে বিভিন্ন মহলে উঠেছে বিতর্কের ঝড়।
[আরও পড়ুন: বঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ কি শুভেন্দু? সোজাসাপ্টা জবাব দিলীপ ঘোষের]
বলে রাখা ভালো, ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ জমিরক্ষার আন্দোলন চলাকালীন পুলিশের গুলিতে ১৪ জন প্রাণ হারান। জখম বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয় পরবর্তীকালে। সব মিলিয়ে নন্দীগ্রামে শহিদ ৪১ জন। ২০০৮ সালে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ দখল করে তৃণমূল। ২০১১ সালে রাজ্যে ফোটে ঘাসফুল। তার পর থেকে রাজ্য রাজনীতিতে নন্দীগ্রাম আন্দোলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঠিক তেমনই রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে নন্দীগ্রামের শহিদ পরিবারগুলিও।
সেই শহিদদের নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার এহেন ভাষাপ্রয়োগে আপত্তি শাসক শিবিরের। শুভেন্দুর এই বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে তৃণমূল। বিজেপি শালীনতার সমস্ত সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে বলেই দাবি। এমন মন্তব্যের জন্য অবিলম্বে শুভেন্দুকে ক্ষমা চাওয়ার দাবিও জানিয়েছে তৃণমূল। যদিও এ বিষয়ে গেরুয়া শিবিরের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।