সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁকে শিবিরে ধরে রাখতে গিয়ে তাঁর কাকাকে কার্যত রাজনৈতিকভাবে বিসর্জন দিতে হয়েছে। তাঁকে শিবিরে ধরে রাখতে নীতীশ কুমারের ক্ষোভও সামলাতে হয়েছে। তবু চিরাগ পাসওয়ানকে এনডিএতে ধরে রাখতে মরিয়া বিজেপি। যে দল গোটা দেশে ৪০০ আসন জেতার দাবিতে বুক বাজাচ্ছে, তাঁরা কেন বিহারের সামান্য এক আঞ্চলিক দলকে জোটে ধরে রাখতে এত মরিয়া? অনেকের মনেই ঘুরপাক খাচ্ছে এই প্রশ্ন।
আসলে বিহারে এই মুহূর্তে একাধিক রাজনৈতিক শক্তি সক্রিয়। বিজেপি, জেডিইউ, এবং আরজেডি, এই তিন প্রধান দল। এদের ভোটব্যাঙ্ক মোটামুটি ১৫ থেকে ৩০ শতাংশের মধ্যে ঘোরাফেরা করে। কংগ্রেসের ভোটব্যাঙ্ক মোটামুটি ৬-৯ শতাংশের মধ্যে। বিজেপি এবং আরজেডি এই মুহূর্তে জেডিইউয়ের থেকে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে। যদি চিরাগ পাসওয়ানকে বাদ দেওয়া যায়, তাহলে বিজেপি এবং জেডিইউ জোটের মোট ভোট, কংগ্রেস আরজেডি জোটের প্রায় সমান হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে বিহার থেকে বিজেপি যে বিরাট সংখ্যক আসন প্রত্যাশা করছে, সেটা পাওয়া মুশকিল।
[আরও পড়ুন: ‘টাকা নেই, ভোটে লড়ব কীভাবে’, বলছেন আয়কর হানায় জেরবার কংগ্রেস সভাপতি]
অন্যদিকে বিহারে প্রায় ৬ শতাংশ পাসওয়ান ভোট রয়েছে। সেই পাসওয়ান ভোট মূলত চিরাগ পাসওয়ানের সঙ্গেই আছে। এক সময় চিরাগের বাবা রামবিলাস পাসওয়ান শিবির বদল করার জন্য ‘হাওয়া মোরগ’ খেতাব পেয়েছিলেন। ঠিক ক্ষমতা বদলের আগেই শিবির বদল করতেন রামবিলাস। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এতবার শিবির বদলের পরও তাঁর ৬ শতাংশ পাসওয়ান ভোট অটুট ছিল। বাবার ‘অনুগত’ সেই পাসওয়ান ভোটাররা এখন চিরাগের সঙ্গে। তাঁর কাকা পশুপতি পরস রামবিলাসের দল ভেঙে দিলেও ভোটারদের মন পাননি। ভোটাররা রয়েছেন চিরাগের সঙ্গেই। এখন বিজেপির অঙ্ক হল, বিজেপি, জেডিইউইয়ের সঙ্গে পাসওয়ান ভোট যোগ হলে বিরোধী শিবিরের থেকে সেটা অনেকটাই বেশি হয়ে যাবে। সেকারণেই চিরাগকে পেতে এত মরিয়া বিজেপি।
[আরও পড়ুন: রাজ্যপালের মুখেও ‘মোদিজি কি গ্যারান্টি’! ‘বিজেপির লোক’ খোঁচা তৃণমূলের]
উল্লেখ্য, চিরাগকে সঙ্গে নিয়েই বিহারে আসনরফা সেরেছে বিজেপি। ৪০ আসনের মধ্যে ১৭টি আসনে লড়বে বিজেপি। ১৬টি আসনে লড়বে জেডিইউ। চিরাগের দল লড়বে ৫ আসনে। একটি করে আসনে প্রার্থী দেবে জিতন রাম মাঝি এবং উপেন্দ্র কুশওয়াহার দল। এই প্রথম বিহারে নীতীশের দলের থেকে বেশি আসনে লড়বে বিজেপি। যা তাৎপর্যপূর্ণ।