নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: রাষ্ট্রপতির ভাষণের পরদিনই নিট ইস্যুতে উত্তাল লোকসভা। বিরোধীরা এই ইস্যুতে আলোচনার দাবিতে সরব হতেই দুপুর ১২টা পর্যন্ত অধিবেশন মুলতুবি করে দেন স্পিকার ওম বিড়লা। পরে অধিবেশন শুরু হলে ফের বিক্ষোভ দেখান বিরোধীরা। বাধ্য হয়ে গোটা দিনের জন্যই অধিবেশন মুলতুবি করে দেওয়া হয়। বিরোধীদের দাবি, এই মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে জ্বলন্ত ইস্যু নিট (NEET)। এর সঙ্গে জড়িয়ে পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ। অন্য সব এজেন্ডার আগে নিট ইস্যুতে আলোচনা হোক। সরকার পক্ষ তা মানতে না চাওয়ায় শেষ পর্যন্ত বিক্ষোভের পথে হাঁটতে হয় ইন্ডিয়া জোটকে।
শুক্রবার নিট ইস্যুতে সংসদের দুই কক্ষেই মুলতুবি প্রস্তাব আনা হবে, আগেই ঠিক হয়েছিল ইন্ডিয়া জোটের শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে। বৃহস্পতিবার কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের (Mallikarjun Kharge) বাসভবনে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক ছিল। বৈঠকে খাড়গে ছাড়াও হাজির ছিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। তৃণমূলের প্রতিনিধি হিসাবে বৈঠকে যোগ দেন ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং কাকলি ঘোষ দস্তিদার। এদিন সকালেও ডেরেক হুঙ্কার দেন, আজ ইন্ডিয়া জোটের সাংসদরা ২৪ লক্ষ প্রতারিত পড়ুয়ার কণ্ঠস্বর প্রতিধ্বনিত করবে লোকসভায়। সেই মতোই জোটের তরফে একাধিক সাংসদ সংসদের দুই কক্ষেই নিট নিয়ে মুলতুবি প্রস্তাব আনেন।
[আরও পড়ুন: Jio’র পর প্ল্যানের দর বাড়াল Airtel, জানুন কত বাড়বে খরচ]
কিন্তু স্পিকার ওম বিড়লা (Om Birla) জানিয়ে দেন, রাষ্ট্রপতির ভাষণ নিয়ে আলোচনার আগে মুলতুবি প্রস্তাব গ্রহণ করা যাবে না। বস্তুত নিট নিয়ে আলোচনার দাবিও খারিজ করে দেন তিনি। স্পিকারের বক্তব্য, রাষ্ট্রপতির ভাষণ নিয়ে আলোচনা চলাকালীনও নিট ইস্যুতে নিজেদের বক্তব্য জানাতে পারেন বিরোধীরা। তবে বিরোধী শিবির, শুধুমাত্র নিট ইস্যুতে আলোচনার দাবিতে অনড় ছিল। ইন্ডিয়া জোটের তরফে রাহুল গান্ধী স্পিকার ওম বিড়লার কাছে আর্জি জানান, নিট ইস্যুতে আলোচনার অনুমতি দেওয়া হোক। এটা যুব সমাজের ইস্যু। তাতেও স্পিকার মুলতুবি প্রস্তাব গ্রহণ করেননি। যার জেরে বিক্ষোভ দেখান ইন্ডিয়া জোটের সাংসদরা। তার পরই অধিবেশন দুপুর ১২টা পর্যন্ত মুলতুবি করে দেওয়া হয়। পরে গোটা দিনের জন্যই অধিবেশন মুলতুবি ঘোষণা করতে বাধ্য হন স্পিকার।
[আরও পড়ুন: টোটো ভাড়া ২২ লাখ, জলের খরচ ২০ লাখ! দিলীপের নির্বাচনী খরচের বহরে ক্ষুব্ধ দলের একাংশ]
রাহুল গান্ধীর দাবি, বিরোধীরা চাইছিল দেশের যুবসমাজের উদ্দেশে সরকার এবং বিরোধীদের একটি যুগ্ম বার্তা যাক। কিন্ত নরেন্দ্র মোদির সরকার সেটা চায়নি। এমনকী নিট নিয়ে বলতে গেলে রাহুলের মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ কংগ্রেসের।