সৌরভ মাজি, বর্ধমান: ভোটের দিন যেমন সক্রিয়তা থাকে, এবার তেমনটা বিশেষ দেখা যায়নি। নিজের সংসদীয় কেন্দ্রের সাত বিধানসভা মধ্যে মাত্র তিনটিতে গতিবিধি ছিল সীমাবদ্ধ। তার মাঝে একাধিকবার বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন। কখনও গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ, কখনও বুথে ঢুকে তৃণমূল কর্মী, সমর্থকদের সঙ্গে বিজেপি প্রার্থীরই হাতাহাতি। সবমিলিয়ে শান্তিপূর্ণ ভোটের আবহে অশান্তির দাগ তো লেগেইছে। আর তা নিয়ে ভোটের পরদিন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) ক্ষোভ উগরে দিলেন সংগঠনের প্রতি। সেইসঙ্গে অবশ্য দুষলেন তৃণমূলকেও। তাঁর দাবি, তৃণমূলের 'ট্যাকটিক্সে'ই কার্যত তিনটি বিধানসভার কয়েকটি কেন্দ্রের মধ্যে আবদ্ধ থাকতে হল বলে মনে করছেন তিনি। মঙ্গলবার তিনি রোজকার মতো প্রাতঃভ্রমণে বেরলেও এদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন না বিজেপির কোনও কর্মী, কার্যকর্তাকে। শুধুমাত্র নিরাপত্তারক্ষীদের নিয়ে নিজের মতো করে সারলেন জনসংযোগ।
সোমবার, চতুর্থ দফায় লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) ভোটগ্রহণ হয়েছে বর্ধমান-দুর্গাপুর (Bardhaman-Durgapur)লোকসভা কেন্দ্রে। এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। ভোটের দিন তাঁকে যত না সক্রিয়ভাবে দেখা গিয়েছিল, তার চেয়ে তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভের আঁচটা ছিল বেশি। এসবের জেরে ভোটের পরদিনই সংগঠনের হাল নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন দিলীপ ঘোষ। বর্ধমান টাউন হলের কাছে মঙ্গলবার প্রাতঃভ্রমণ করতে গিয়ে তাঁর অভিযোগ, সোমবার ভোট চলাকালীন মন্তেশ্বরের তুল্লা গ্রামে তাঁর গাড়ি ঘিরে যখন বিক্ষোভ চলছিল, তখন কার্যকর্তারা ঘরে বসেছিলেন। ওইদিন তৃণমূলের (TMC) 'ট্যাকটিক্স'-এই কার্যত তিনটি বিধানসভার কয়েকটি কেন্দ্রে আবদ্ধ থাকতে হলে বলেও অভিযোগ তুললেন বিজেপি প্রার্থী। এও বলেন, ভোটের দিন বর্ধমানের কপিবাগানে যাওয়া ঠিক হয়নি। কার্যকর্তারা সঙ্গে নেই, রাস্তা চেনেন না। সরু রাস্তায় ঢুকলে বেরনোর সমস্যা।
[আরও পড়ুন: ক্যানসার আক্রান্ত ১০০ মহিলার পাশে রাজ্যপাল, শ্লীলতাহানি বিতর্কের মাঝেই অর্থসাহায্যের ঘোষণা]
যদিও এসবের পরও দিলীপ ঘোষ জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। তাঁর মতে, ভোটের দিন হারছে বুঝেই তৃণমূল ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেছে। মঙ্গলবার প্রাতঃভ্রমণে বেরলে সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেন, 'আপনি কি ক্লান্ত?' তাতে দিলীপ ঘোষের উত্তর, ''ক্লান্ত কারা হয়? যারা মাঝেমধ্যে কাজ করে। আমার তো এটা রোজকার রুটিন। সকাল থেকে রাত দৌড়ই আমি।'' এর পরই তাঁকে ঘিরে ভোটের দিন বিক্ষোভ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে বিজেপি প্রার্থী বললেন, ''আর কী করবে? বুঝেছে, ভোট সব এদিকে আসছে। জেতার কোনও সম্ভাবনা নেই। তাই আমার গাড়িগুলোর উপর রাগ করে ভেঙে দিয়েছে। বর্ধমানে এত শান্তিপূর্ণ ভোট তো আগে হয়নি।''