সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিজের মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রে এবার লড়ছেন না তিনি। বর্ধমান দুর্গাপুর আসন জয়ের গুরু দায়িত্ব এবার তাঁর কাঁধে। প্রায় প্রতিদিন তাঁর মন্তব্যে সমালোচনার ঝড় ওঠে পাড়ার চায়ের দোকান থেকে বা ঝাঁচকচকে স্টুডিওতে। কথা হচ্ছে দিলীপ ঘোষের। সম্প্রতি একটি বাংলা সংবাদমাধ্যমে এসে স্বমেজাজেই ধরা দিলেন বিদায়ী সাংসদ। সেখানে উঠে আসে রাজ্য রাজনীতির একাধিক প্রশ্ন। শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীর মুখ কি না, সেই প্রশ্নও ধেয়ে আসে তাঁর দিকে। সোজা ব্যাটেই যা খেলেন তিনি।
দীর্ঘ ওই সাক্ষাৎকারের শেষের দিকে বর্ধমান দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থীকে সঞ্চালক জানান পাঁচটি প্রশ্নের, হ্যাঁ অথবা না-এ উত্তর দিতে হবে। তার মধ্যে একটি প্রশ্নের সরাসরি উত্তর নাও দিতে পারেন তিনি। দিলীপকে প্রথম প্রশ্ন করা হয়, লোকসভা ভোটে তিনি দলের রাজ্য সভাপতি থাকলে লড়াই জোরদার হত কি না? এর উত্তরে দিলীপ "হ্যাঁ" বলে উত্তর দেন। উল্লেখ্য, ২০১৬ বিধানসভা ভোটে বাংলায় মাত্র তিনটি আসন পেয়েছিল পদ্মশিবির। দিলীপ রাজ্য সভাপতি হওয়ার পর একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ছবিটা উল্লেখযোগ্যভাবে বদলে যায়। ৭৭টি আসন আসে বিজেপির খাতে। তিনিই যে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে এই বদল ঘটিয়েছিলেন, সে কৃতিত্বের কথা দিলীপ নিজেও বলেছেন একাধিক বার। তাই চব্বিশের লোকসভায় তিনিই সভাপতি থাকলে 'খেলা' আরও জোরদার হতে পারত বলতে এক মুহূর্ত ভাবেননি তিনি। নিজের এই উত্তরে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব যে বিশেষ বার্তা দিয়ে রাখলেন আত্মবিশ্বাসী দিলীপ, তেমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
[আরও পড়ুন: ভদ্রেশ্বরে আবাসনের বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার বৃদ্ধের পচাগলা দেহ, মৃত্যুর কারণ ঘিরে ধোঁয়াশা]
র্যাপিড ফায়ারের দ্বিতীয় প্রশ্নে শেষ বিধানসভা নির্বাচনে দলবদলুদের বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি উত্তরে বলেন, "না"। এর পরেই তাঁকে শুভেন্দু অধিকারীরকে রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ ভাবা হচ্ছে কি না জিজ্ঞাসা করা হয়। হ্যাঁ বা না-র মধ্য়ে না গিয়ে তিনি বলে দেন, "এটা বলার অধিকার আমার নেই।" দিলীপের সঙ্গে শুভেন্দুর 'ঠান্ডা লড়াই' যেন আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল তাঁর উত্তরের মধ্যে দিয়ে।
তাঁকে আরও জিজ্ঞাসা করা হয়, মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে সরিয়ে দল কি ভুল করল? এই প্রশ্নের উত্তরে রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি "না" বলেন। বিজেপিতে দিলীপের কদর কমছে? এহেন প্রশ্নকেও বাউন্ডারির বাইরে ফেলে বলে দেন, 'না'। বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা আসনে তৃণমূল প্রার্থী করেছে '৮৩ সালে প্রথম ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় দলের সদস্য কীর্তি আজাদকে। মূলত তাঁর বিরুদ্ধেই দিলীপের লড়াই। এই আসনে নির্বাচন ১৩ মে। তবে জয়ের বিষয়ে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত দিলীপ ঘোষ।