সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চাকরি ছাড়ার পরও রাজ্য সরকারের তরফে 'নো ডিউজ' সার্টিফিকেট পাননি বলে গৃহীত হয়নি মনোনয়ন পত্র। দলের তরফে নাম ঘোষণার পরও তাই বীরভূম লোকসভা কেন্দ্র থেকে চব্বিশের লোকসভা ভোটে (Lok Sabha Election 2024) বিজেপির প্রতীকে ভোটে লড়তে পারলেন না আইপিএস দেবাশিস ধর। তা নিয়ে তিনি কলকাতা হাই কোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েও সুরাহা মেলেনি। আদালত তাঁর আবেদন ফিরিয়ে দিয়েছেন। ফলে দেওয়াল লিখন, প্রচার শুরুর পরও ভোট ময়দান থেকে পিছু হঠতে হয়েছে প্রাক্তন পুলিশ সুপারকে। এবার তাঁর এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসল নির্বাচন কমিশন। 'নো ডিউজ' সার্টিফিকেট নিয়ে নয়া নিয়ম চালু করা হল। প্রত্যেক রাজ্য সরকারের প্রতি কমিশনের নির্দেশ, কোনও প্রার্থী চাকরি ছেড়ে নির্বাচনে লড়তে চাইলে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ওই শংসাপত্র তাঁকে দিতে হবে।
নির্বাচন কমিশনের এই নতুন নিয়ম জানার আগে বুঝে নেওয়া দরকার কী এই 'নো ডিউজ' সার্টিফিকেট, যার জন্য এত জটিলতা? জানা যাচ্ছে, সরকারি চাকরি ছেড়ে ভোটে লড়তে হলে অন্যান্য বিষয়ে হলফনামা দেওয়ার পাশাপাশি আগের ১০ বছরে সরকারের ঘরে কোনও বকেয়া আছে কি না, তা নির্দিষ্টভাবে জানাতে হয় প্রার্থীকে। সেই তালিকায় পড়ে জলের বিল, বিদ্যুতের বিল ও বাড়ি ভাড়ার মতো বিষয়। এই সংক্রান্ত কোনও কিছু বকেয়া না থাকলে সরকার ‘নো ডিউজ’ (No Dues) সার্টিফিকেট দেয়। আর বকেয়া থাকলে সেই শংসাপত্র মেলে না।
[আরও পড়ুন: টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান হারাল ভারত, এক নম্বরে উঠে এল কোন দল?]
বিজেপির তরফে বীরভূমের (Birbhum) প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা হওয়া আইপিএস দেবাশিস ধরের ক্ষেত্রে মনোনয়ন (Nomination) পেশের পর ঠিক এই জায়গাতেই জট পেকেছে এবং বাতিল হয়েছে মনোনয়ন। বিজেপির অভিযোগ, অন্য কারণ নয়, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরেই রাজ্য সরকার তাঁকে ‘নো ডিউজ’ সার্টিফিকেট দেয়নি। ফলে বীরভূমের নতুন বিজেপি প্রার্থী (BJP Candidate) দেবতনু ভট্টাচার্যকে ভোট ময়দানে নামানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ভক্তের ডাকে সাড়া, ১০৩ বছরের ‘তরুণ’ সুপারফ্যানকে জার্সি উপহার ধোনির]
এবার সেই ‘নো ডিউজ’ সার্টিফিকেট নিয়েই বড়সড় পদক্ষেপ নিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। বলা হয়েছে, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই প্রার্থীকে ‘নো ডিউজ’ সার্টিফিকেট দিতে হবে। তা ফেলে রাখা যাবে না। এই মর্মে প্রতি রাজ্যের মুখ্যসচিবকে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে কমিশন। এই নতুন নির্দেশ নিয়ে ওয়াকিবহাল মহলের মত, দেবাশিস ধরের জটিলতাই কমিশনকে এনিয়ে নতুন করে ভাবিয়েছে। নয়া নির্দেশিকা তারই ফলাফল।