shono
Advertisement

পাহাড়ে ফের ফুটবে পদ্ম? বিদ্রোহ-কোন্দলে শেষ হাসি কার?

১৯৫৭ থেকে ২০০৪ লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত আসনটি কংগ্রেস ও বামেদের মধ্যে ঘোরাফেরা করেছে। দার্জিলিং লোকসভা আসন থেকে বামফ্রন্টের সিপিএম প্রার্থী ছয়বার নির্বাচিত হয়েছেন। দার্জিলিং লোকসভা আসনে ভোটের ফলাফল সমতলের ভোটের উপর বেশি নির্ভরশীল।
Posted: 06:54 PM Mar 07, 2024Updated: 06:55 PM Mar 07, 2024

বিশ্বজ্যোতি ভট্টাচার্য: ভারতের গভর্নর-জেনারেল লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক কতটা দূরদর্শী ছিলেন আজকের দার্জিলিংয়ের গুরুত্ব থেকে তা মালুম হয়। তিনিই ১৮২৯ সালে তৎকালীন ভারত সরকারের কাছে প্রথম প্রস্তাব রেখেছিলেন, পাহাড়ি এলাকাটি স্বাস্থ্য উদ্ধার কেন্দ্র হতে পারে। তখনই যেন ওক, পাইনের জঙ্গলে ঘেরা পরিত্যক্ত দুর্গম জনপদের ভাগ্যলিখন তৈরি হয়ে যায়। এর পর সময় গড়িয়ে একদিকে দার্জিলিং যেমন দেশের অন্যতম সেরা পর্যটন কেন্দ্রের মর্যাদা আদায় করে নিয়েছে, ঠিক তেমন রাজনৈতিক মানচিত্রেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

Advertisement

পাহাড়-সমতল নিয়ে বৈচিত্রময় লোকসভা কেন্দ্রটিতে শৈল শহর দার্জিলিংয়ের পাশাপাশি রয়েছে কালিম্পং, কার্শিয়াং, মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি, শিলিগুড়ি, ফাঁসিদেওয়া এবং চোপড়ার মতো সাতটি বিধানসভা কেন্দ্র। ১৯৬৭ সালে এই লোকসভা কেন্দ্রের নকশালবাড়ি এলাকায় কৃষক বিদ্রোহের হাত ধরে ইতিহাসে জায়গা করে নেয় ‘নকশাল’ শব্দটি। পরবর্তীতে ১৯৮৬ সালে ফের লোকসভা কেন্দ্রটি সংবাদ শিরোনাম হয়েছে সুভাষ ঘিসিংয়ের নেতৃত্বে গোর্খা ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্টের ধ্বংসাত্মক আন্দোলনের সুবাদে। অনেক রক্তক্ষরণের পর ১৯৮৮ সালে দার্জিলিং গোর্খা হিল কাউন্সিল গঠন হয়। যদিও পরিস্থিতি খুব বেশিদিন শান্ত থাকেনি। ২০০৭ সালে সুবাস ঘিসিংকে টপকে উত্থান ঘটে বিমল গুরুংয়ের। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতৃত্বে ফের গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে রক্তক্ষয়ী হিংসাত্মক আন্দোলন শুরু হয়। এভাবেই শান্ত পাহাড়ি জনপদে বারবার ভেসেছে বিচ্ছেদের সুর। সেটাই ভোটের রাজনীতিতে কখনও হয়েছে ‘তুরুপের তাস’। ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে লোকসভা কেন্দ্রটি জাতীয় নিরাপত্তার দিক থেকে ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। নেপাল ও বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেরা এলাকার পাশেই রয়েছে চিন। সড়কপথে দেশের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যোগসূত্র রচনা করে দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্র পরিচিতি পেয়েছে ‘চিকেন নেক’ নামে। যোগাযোগ, অর্থনীতি ও প্রশাসনিক দিক থেকে উত্তরের অঘোষিত রাজধানী হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটেছে লোকসভা কেন্দ্রের শিলিগুড়ি বিধানসভা এলাকার। এখানেই রয়েছে রাজ্য সচিবালয় ‘উত্তর কন্যা’।

[আরও পড়ুন: আড়াই দশক ধরে কলকাতা কাঁপাচ্ছে ‘৪০৭ গ্যাং’! অবশেষে জালে দুই মাথা]

জনবিন্যাস

দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের জনসংখ্যা ২২ লক্ষ ১ হাজার ৭৯৯। মোট জনসংখ্যার ৬৬.৬৮ শতাংশ গ্রামে এবং ৩৩.৩২ শতাংশ শহরে বসবাস করে। তাদের মধ্যে ১৭ শতাংশ তফসিলি জাতি এবং ১৮.৯৯ শতাংশ তফসিলি উপজাতি। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুসারে, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে দার্জিলিং কেন্দ্রে ভোটদাতার সংখ্যা ছিল ১৬ লক্ষ ১১ হাজার ৩১৭। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮ লক্ষ ১৭ হাজার ৬৮৭ এবং মহিলা ভোটার ৭ লাখ ৯৩ হাজার ৬০৯। সাক্ষরতার হার ৬৮.১৪ শতাংশ। মোট ভোটদাতার ১৬.০৮ শতাংশ তফসিলি জাতি এবং ১৯.০৪ শতাংশ তফসিলি উপজাতি। মুসলিম ভোটদাতার সংখ্যা ১৪.০৪ শতাংশ। এই লোকসভা কেন্দ্রে গ্রামীণ এলাকার ভোট রয়েছে ১০ লক্ষ ৫৯ হাজার ৫৭৩ অর্থাৎ মোট ভোটদাতার ৬৬.০২ শতাংশ। শহরের ভোট ৫ লক্ষ ৪০ হাজার ৯৯১ অর্থাৎ মোট ভোটদাতার ৩৩.০৮ শতাংশ।

ইতিহাস

১৯৫৭ থেকে ২০০৪ লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত আসনটি কংগ্রেস ও বামেদের মধ্যে ঘোরাফেরা করেছে। ২০০৯ লোকসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবিরের উত্থান ঘটে। দার্জিলিং লোকসভা আসন থেকে বামফ্রন্টের সিপিএম প্রার্থী ছয়বার নির্বাচিত হয়েছেন (১৯৭১, ১৯৮০, ১৯৮৪, ১৯৯৬, ১৯৯৮ এবং ১৯৯৯)। কংগ্রেস প্রার্থী পাঁচবার নির্বাচিত হয়েছেন (১৯৫৭, ১৯৬২, ১৯৭৭, ১৯৯১ এবং ২০০৪)। বিজেপির দখলে তিন দফায় (২০০৯, ২০১৪ এবং ২০১৯)।

গত এক দশকের রাজনৈতিক পরিস্থিতি

২০০৯ লোকসভা নির্বাচন থেকেই কার্যত দার্জিলিং কেন্দ্রে রাজনৈতিক বিন্যাস পালটাতে শুরু করে। জাতিসত্তার ইস্যু সামনে রেখে পাহাড়ে শুরু হয় গেরুয়া শিবিরের আধিপত্য। পাহাড়ের পাশাপাশি সমতলেও কংগ্রেস ও বামেদের সাংগঠনিক শক্তির অবক্ষয় বাড়ে। ভোটের সমীকরণ থেকে স্পষ্ট সেটাই গেরুয়া শিবিরকে পুষ্টি জুগিয়েছে। ২০০৯ সালে বিজেপির যশবন্ত সিং ৫১.৫০ শতাংশ ভোট পেয়ে এই আসনে নির্বাচিত হন। তার প্রাপ্ত ভোট ছিল ৪ লক্ষ ৯৭ হাজার ৬৪৯। বামেদের প্রাপ্ত ভোট ছিল ২৫.২৯ শতাংশ। সিপিএমের জীবেশ সরকার পেয়েছিলেন ২ লক্ষ ৪৪ হাজার ৩৬০ ভোট। অন্যদিকে কংগ্রেসের দাওয়া নরবুলার প্রাপ্ত ভোট ছিল ১৯.৪৩ শতাংশ। তিনি পেয়েছিলেন ১ লক্ষ ৮৭ হাজার ৮০৯ ভোট।

এখানে লক্ষ্যনীয় ২০০৪ লোকসভা নির্বাচনে সিপিএমের মণি থাপাকে পরাজিত করে জয়লাভ করেছিলেন কংগ্রেসের দাওয়া নরবুলা। তার প্রাপ্ত ভোট ছিল ৩ লক্ষ ৯৬ হাজার ৯৭৬। মণি থাপা পেয়েছিলেন ২ লক্ষ ৯৫ হাজার ৫৫৭ ভোট। ২০০৯ লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের নিরিখে স্পষ্ট কংগ্রেসের ভোট কমেছে ২৫.২৭ শতাংশ এবং বামেদের ৭.৯৯ শতাংশ। ওই ভোটের সিংহভাগের দখল নিয়েছে গেরুয়া শিবির।

এর পর ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাম ও কংগ্রেস শিবিরের ভূমিক্ষয় অনেক বেড়ে যায়। ২০০৯ সালের তুলনায় কংগ্রেস ১১.৫৫ শতাংশ এবং সিপিএম ১০.৬৬ শতাংশ কম ভোট পায়। ২০১৪ নির্বাচনে বিজেপির এসএস আলুওয়ালিয়া ৪২.৭৩ শতাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৪ লক্ষ ৮৮ হাজার ২৫৭। তৃণমূলের বাইচুং ভুটিয়া পেয়েছিলেন ২৫.৪৭ শতাংশ ভোট। প্রাপ্ত ভোট ছিল ২ লক্ষ ৯১ হাজার ১৮। বামেরা পেয়েছিল ১৪.৬৩ শতাংশ ভোট। প্রাপ্ত ভোট ছিল ১ লক্ষ ৬৭ হাজার ১৮৬। প্রার্থী ছিলেন দলের বর্তমান দার্জিলিং জেলা সম্পাদক সমন পাঠক। কংগ্রেসের সুজয় ঘটক পেয়েছিলেন মাত্র ৭.৮৮ শতাংশ ভোট। প্রাপ্ত ভোট ছিল ৯০ হাজার ৭৬।

এর পর ২০১৯ নির্বাচনে পাহাড়-সমতলে কংগ্রেস ও বামেদের ভোটব্যাঙ্ক লোপাট করে নেয় গেরুয়া শিবির। কংগ্রেসের প্রাপ্ত ভোট কমে দাঁড়ায় ৫.১৪ শতাংশ এবং বামেদের ৩.৯৯ শতাংশ। বিজেপির রাজু বিস্তা ৫৯.১৯ শতাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। গেরুয়া শিবির বাম ও কংগ্রেসের সাংগঠনিক ভিত তছনছ করে ২০১৪ সালের তুলনায় ১৬.৪৬ শতাংশ ভোট বাড়িয়ে নেয়। ওই সময় পাহাড়ে ছিল বিমল গুরুংয়ের একচ্ছত্র আধিপত্য। তিনি বিজেপির সমর্থনে দাঁড়াতে সেখানকার ছবি পালটে যায়। কিন্তু পরিস্থিতি খুব বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। পাহাড়ে ১০৪ দিনের ধর্মঘট, ধ্বংসাত্মক আন্দোলনের পরিনতিতে বিমল গুরুংয়ের আত্মগোপনের পর অনীত থাপার উত্থানের হাত ধরে পাহাড়ের রাজনৈতিক সমীকরণ ফের পাল্টাতে শুরু করে।

তৃণমূল ঘনিষ্ঠ অনীতের দল ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা জিটিএ, পুরসভা, গ্রাম পঞ্চায়েতে একচ্ছত্র আধিপত্য বাড়াতে বিজেপি তো বটেই। সহযোগী জিএনএলএফ, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা, হামরো পার্টির কোণঠাসা দশা হয়। সর্বশেষ লোকসভা ভোটের মুখে ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে যে ‘জন জাগরণ যাত্রা’ শুরু করছে অনীত থাপার ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা পাহাড়ের জনমানসে সেটার প্রভাব কতটা পড়েছে বলার সময় আসেনি বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। তাদের মতে, ‘জন জাগরণ যাত্রা’র সুফল কতটা মিলেছে সেটা লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলে স্পষ্ট হবে। যদিও চাপে পড়ে ইতিমধ্যে বেসুরো হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন হামরো পার্টির অজয় এডওয়ার্ড। ভূমিপুত্র প্রার্থীর দাবিতে দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন কার্শিয়াংয়ের বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মাও।

[আরও পড়ুন: বেঙ্গালুরুর রেস্তরাঁয় বিস্ফোরণে অভিযুক্তের মাথার দাম ১০ লক্ষ! ঘোষণা NIA-র]

 

হালফিলের হকিকত

২০১১ সালে রাজ্যে পালা বদল হলেও শিলিগুড়ি ছিল বামেদের শেষ ঠিকানা। পুরনিগম ও মহকুমা পরিষদ তাদের দখলে থেকে গিয়েছে। ২০২২ সালে সবুজ ঝড়ে বাম ঘাঁটি শিলিগুড়ি পুরনিগম হাতছাড়া হতে সমতলের ভোটের সমীকরণ পালটাতে শুরু করে। যদিও ইঙ্গিত মিলতে শুরু করেছিল ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে শিলিগুড়ির আসন সিপিএমের হাতছাড়া হওয়ার পর। কার্যত ওই সময় থেকে তরাই এলাকায় গেরুয়া শিবিরের উত্থান বলা যেতে পারে। ৫০ শতাংশ ভোট দখল করে আসন জিতে নেন বিজেপির শঙ্কর ঘোষ। শহরাঞ্চলে বামেদের ভোট কমে দাঁড়ায় ১৬ শতাংশে। তৃণমূল ৩০ শতাংশ ভোট দখল করে। তৃণমূলের ধারাবাহিক রাজনৈতিক কর্মসূচি এক বছরের ব্যবধানে ওই ছবি পালটে দেয়।

৪৭ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে পুরনিগম দখল করে জোড়াফুল শিবির। এর পর ওই বছর বামেদের শেষ দেউটি শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদও তৃণমূলের দখলে চলে যায়। মহকুমা পরিষদের ৯টি আসনের মধ্যে ৮টি দখল করে তৃণমূল। একটি আসন পায় বিজেপি। ২২টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১৯টিতে জয় পায় তৃণমূল। পঞ্চায়েত সমিতির ৬৬টি আসনের মধ্যে ৫৪টি পেয়েছে তৃণমূল। বিজেপিকে ১০টি আসন নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। অথচ ২০১৯ লোকসভা ভোটে গেরুয়া শিবিরের ব্যাপক উত্থানের প্রভাব দেখা গিয়েছিল ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে। দার্জিলিং, কার্শিয়াং, শিলিগুড়ি, মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি এবং ফাঁসিদেওয়া বিধানসভা আসন ঘরে তুলে নেয় গেরুয়া শিবির। এর পর মাত্র এক বছরের মাথায় পুরনিগম ও মহকুমা পরিষদ নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়তে হয়েছে বিজেপিকে। পাহাড়েও ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সামনে দাঁড়াতে পারেনি তারা। জিটিএ, পুরসভা এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে।

সম্ভাব্য প্রার্থী

দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে সম্ভাব্য প্রার্থী নিয়ে প্রত্যেকের নজর এখন বিজেপি শিবিরের দিকে। কারণ, কে প্রার্থী হচ্ছেন তা নিয়ে ওই দলের দার্জিলিং জেলা কমিটির নেতৃত্ব ধন্দে থাকলেও বর্তমান সাংসদ রাজু বিস্তার পাশাপাশি প্রাক্তন আমলা হর্ষবর্ধন শ্রীংলা জনসংযোগে ঝাপিয়ে পড়ায় জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে। দু’জনের মধ্যে কে প্রার্থী হবেন প্রশ্নে গোটা দল দু’ভাগে বিভক্ত হয়েছে। শুধু তাই নয়। দুটো পৃথক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলা হয়েছে নিজেদের প্রচারের জন্য। অন্যদিকে পাহাড়ের অনীত থাপা চাইছেন তৃণমূলের সমর্থনে প্রাক্তন আমলা গোপাল লামাকে প্রার্থী করতে। বামেরা অবশ্য কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের অপেক্ষায় রয়েছে। জোট না হলে ফের প্রার্থী হতে পারেন সমন পাঠক।

সম্ভাবনা

দার্জিলিং লোকসভা আসনে ভোটের ((Lok Sabha Election 2024) ফলাফল সমতলের ভোটের উপর বেশি নির্ভরশীল। পঞ্চায়েত, পুরসভা ভোটের ফলাফলের নিরিখে আসনটিতে তৃণমূল অনেকটা এগিয়ে থাকবে। ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সঙ্গে জোট হলে আরও এগিয়ে থাকবে। কিন্তু পঞ্চায়েত ও পুরসভার ফলাফল লোকসভা ভোটকে কতটা প্রভাবিত করতে পারবে সেটাও নিশ্চিত নয় বলেই দাবি রাজনৈতিক মহলের। তার উপর রাম মন্দিরের ধর্মীয় আবেগ পাহাড় ও সমতলে ফল্গুধারার মতো বইতে থাকায় গেরুয়া শিবিরকে দুর্বল ভেবে নেওয়ার কিছু নেই। বিমল গুরুং কোণঠাসা হলেও ইতিমধ্যে বিজেপির হয়ে সওয়াল করতে শুরু করেছেন। সেখানে কিছু প্রভাব পড়বে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। এদিকে সমতলে বাম ও কংগ্রেস এবার তাদের চলে যাওয়া ভোট কতটা ঘরে ফেরাতে পারবেন সেটাও বড় ফ্যাক্টর হতে চলেছে। ওই জোট যত ভোট ফেরাতে পারবে ঠিক ততটাই ভোট হারাতে হতে পারে বিজেপিকে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup অলিম্পিক`২৪ toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার